ঠিক কত প্রজন্ম আগে চেয়ে দেখেছিলাম মনে নেই,
জানা নেই, কবে শিকড়ের সাথে মাটির সমঝোতায় হয়েছিল সই
মনে নেই, কতগুলো সাইক্লোন, ঝঞ্ঝা, বন্যা, খরা বয়ে গেছে
তবুও ছিলাম এই সেদিনও, সকলের সাথে সুখে, দুঃখে, প্রেমে, বিরহে
হয়ত বা স্মৃতির কোনায় কোনায় নিভৃত আঙিনায়, আনমনে, অনিমেষে
ভীষণ দহন দিবসে খানিক শান্তির প্রলেপ নিয়ে, বিনিময় হীন ভালোবেসে।।
নির্বাক উপস্থিতে সাক্ষী হয়েছি, ভালো মন্দের ধারাবাহিকতায়
দেখেছি একের পর এক আসার, চলে যাওয়ার, অসীম মৌনতায়
অনেকে তাকিয়েছ, দেখেছ আমাকে, হয়ত বা ভেবেছ অনেক বেশি
কেমন করে এলাম, কে করেছে লালন, অথবা কাটিয়েছি কত বছর,কত নিশি
মোঘল না ইংরেজ, ঠিক কোন সময়ের, জন্মের দিন পঞ্জী অজানা
কেউ রাখেনি হিসাব, জ্বলেনি প্রদীপ, যদিও গোত্রটা সকলের জানা।।
অপার কুতূহলে, দলবদ্ধ দুহাতে জড়িয়ে , মাপতে চেয়ছে এ বপু
কতনা প্রেমের সাক্ষী, লিখে গেল যুগলের নাম, আবার যদি আস কভু
খুশি, অখুশির কথা থাক, শ্যাওলা ধরা পুরু বাকলে, এমন আঁচড়ে কিবা হয়
প্রেম স্থায়ী হোক বা না হোক, এই শরীরে, এটুকু হয়ত বেমানান নয়
আবার যখন এলে, অস্ফুট বিস্ময়ে বোল্লে, আহারে, কি হোল! মরে গেল
ইশশ, খসে খসে পড়েছে বাকল ! লিখে রাখা নাম গুলোর, কি হোল ?
বিবর্ণ সবুজ, ফুল ফোটাবার স্বপ্ন ভুলেছে, ষড়যন্ত্রের মাশুলে
লোভের ময়না তদন্ত, শাস্তির বিধান, চাপা পড়ে যায় অর্থের নাগালে
শহরে, নগরে মানুষের মিছিলে, প্লাকার্ডে লেখা, সবুজ বাঁচাও, বাঁচতে দাও,
আবেগ উস্কে মিডিয়ায় প্রচার একটা দিন, বাকি ৩৬৪ দিন লাভ ওঠাও
রাসায়নিক ঘটক, অনুঘটক, সব নাম জানা, জানা নেই সত্যি কে ভাবে
ইতিহাসের সাক্ষী, ছাল ছাড়ানো বিবর্ণ লাশ, ভরে থাকে সবুজ আর্কাইভে।।
৩০.০৭.২০১৭
সোনারপুর।