মৃত্যুর পরে ঠিক কি ঘটে ? সবটাই মানুষের অজানা
কল্প লোকের গল্প অনেক, না থাকলেও গরুর পাখনা
পুনর্জন্ম কেউ কেউ মানেন, কেউ বা একেবারেই না
তবুও মানুষ মাত্রেই বোধহয় ভাবে পরলোকের ভাবনা।


স্থান কাল পাত্র ভেদে, নানা বিশ্বাসে মানুষের ভিন্ন মত
তবুও একটা জায়গায় মিল, পরিস্কার রেখো ফেরার পথ  
ভয়ে হোক বা ভরসায়, কিছু মানুষ কর্ম করে নির্ভেজাল সৎ
তর্ক থাকবেই,  কি ভাবে প্রমাণ হবে কর্ম সৎ নাকি অসৎ।    


ভীরু মন আর সাহসী মনে ভাবনা সর্বদাই আলাদা হয়
জীবিকা নির্বাহে উপাসক বা কষাই, কর্ম কি ভিন্ন নয় !
পরিশ্রম মানসিক বা দৈহিক, লক্ষ্য অভিন্ন, রসদের যোগাড়
বায়ু-ভুখ হলে আলাদা কথা, কেউ কি চাইবে খাটতে বেগার !  


মগজ ধোলাই বিনা বিশ্বাসের বীজ চিরকাল থেকে যায় সুপ্ত
শান্তিই হোক বা অশান্তি পাকানোয়, স্বর্গ জান্নত সবই গুপ্ত  
কেউ ভালবেসে কেউ বা উল্টো পথে পোঁছাতে চায় গন্তব্যে
ভালো মন্দের বিচার হারা মন, তেতে ওঠে বিশ্বাসী বক্তব্যে।  


ভুল বোঝার দায় আছে, ভুল বোঝানোর দায় নেই কারো
ভুল বোঝানোর কারিগরগণ জেনে-বুঝেই করেন সে কাজও  
জন মানসে কৌশলে বীজের বপন, বাড়ায় নিত্য সংঘাত
মানুষে মানুষে ভেদ, হিংসার সূত্রেই দেখান মোক্ষের পথ !  


অজানায় থাকলে ভয় মেশানো শঙ্কা খুব খারাপ নয় কুসংস্কার  
নিদেন পক্ষে  ভাবনায় যদি থাকে শাস্তির ভয়, গিয়ে পরপার  
অথবা পুনর্জন্ম ও নির্ভর করে, বিগত জন্মের কর্মের উপর  
অন্তত সমাজ পাবে সুফল তার, হলেও সবটাই কল্পনা নির্ভর।    


সোনারপুর
১৯/৭/২০২২