মোহিনী,
আজ রাত্রি দেখ।
নিয়নের চেয়েও বিবর্ণ আলোর এই চাঁদ,
আকাশ জোড়া অসংখ্য নক্ষত্র,
যেসকল হৃদয় ছুঁয়ে যায়,
তা আমায় স্পর্শ করেনি কখনো।
তোমার প্রতীক্ষায়,
শুধু গাঢ় অমাবস্যার রাতেই জাগতাম আমি।
কেননা তোমার মতই লুকিয়ে থাকা অযাচিত সৌন্দর্যের,
এসব চাঁদ তারা সঙ্গ দিত আমায়!


মোহিনী,
ঐ যে কিশোর,
কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে ফুটপাতের শয্যায়,
ঈশ্বরের পৃথিবী তাকে কৃপা করেনি কখনো!
কেননা আমার মত অবোধেরা,
তোমার জন্য,
শুধু অমাবস্যার রাতেই জাগত!
আর ঐ গাঢ় আঁধারে ঊর্ধ্বমুখ আকাশে,
শুধু তোমায় খুঁজেছি আমি,
নিচে তাকানোর সময় হত না আমার!


মোহিনী,
এ পাড়ার মধ্যবিত্ত হামিদ আলী,
ভিখারী হাশেম,
অথবা রাস্তার জয়তুনেরা,
যারা অমাবস্যার রাতে, আমার সাথে,
ফুটপাতে, পার্কে, খাটে বা ছাদে,
অসংখ্য ঘুমহীন রাত কাটিয়েছে,
তাদের দিকে ফিরেও তাকাইনি আমি।
পেটভর্তি বিলাস নিয়ে,
অমাবস্যার আঁধারে,
অর্ধমৃত নক্ষত্রের ভাগাড়ে আমি খুঁজেছি তোমায়।
হৃদয় যন্ত্রণায় বলেছি " ধেত্তেরি জীবন ",
শুধু তোমার প্রতীক্ষায় থেকে।


মোহিনী,
তাই আজ রাত্রি দেখ!
জোছনা প্লাবিত বর্বর রাত,
যে রাত রোগাক্রান্ত এ নগরের দুঃখ,
তোমার চোখে আমার ভালোবাসাকে অস্পষ্ট করে দিবে।
তবু, আমার মত তরুণেরা,
যুগে যুগে এমনি কত অমাবস্যার রাত জাগে,
শুধু তোমার প্রতীক্ষায় থেকে!
জানি একদিন,
হৃদয় যন্ত্রণায় বলবে " ধেত্তেরি জীবন "!