(আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ কবিতা, ক্লাস টেনে থাকতে লেখা, প্রায় দশ বছর আগের।
কবিতা ভর্তি ভুল, ঠিক করতে ইচ্ছে হচ্ছে না.............বড্ড মায়া হচ্ছে)


পৃথিবীর সবচে আদিম রূঢ় নিয়মে,
আজ আমি কোন পুরুষ মাংসের,
তীব্র ক্ষুধার নিবৃত্তি ঘটাব,
                  এ নারীদেহে।
আমাকে আজ বুলডোজারের মত,
পিষে, দলাই মলাই করে,
প্রাচীন মসলার কারসাজিতে,
ছিঁড়ে খাবে, খুঁড়ে খাবে, চিবিয়ে খাবে,
                   আদিম পুরুষ।
কেননা আজ আমি ওর।
সামাজিক স্বীকৃতির দেনমোহর, কবুল, আমিন
এ সব নিয়ে,
বিকৃত অলিখিত সার্টিফিকেট এক!
ওর হাত আমার বুকে,
যেমনটা আমার মায়ের দিকে আমার বাবার,
হয়তো বা ওর মায়ের দিকে ওর বাবার,
এবং আরোও অনেক আদিম নারীর রমণে,
                                            আদিমতায়!
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সারাদেহে,
ওর লোম, লালা, লবণাক্ত ঘাম,
ওর পোঁতা বীজ, এবং,
আবার, আবার, আবারো!
কেননা আজ আমি ওর।
অনেকটা বিহিত মুদ্রার মত -
'চাহিবা মাত্র উহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে'
আর আমরা যথার্থই সামাজিক।
অসামাজিক হলে হয়তো বা চিৎকার দিতাম -
'কে আছ আমায় বাঁচাও'
কিন্তু কেউ নেই।
এবং অবধারিত ভাবে আমার হিমোগ্লোবিনেরাও চঞ্চল।
আমি সভ্যতার শেষ উচ্চারণে - নিঃশব্দ চিৎকারে বললাম,
'হে স্রষ্টা আমায় বাঁচাও'
কিন্তু সত্যিই কেউ নেই,
            গহীন গভীর আঁধার শুধু।