সকালের আলো ফোটার আগে রোজকার মতো
আমরা দুজনে প্রাতঃভ্রমণের হাঁটা চলা সেরে নিতাম।  
সোসাইটি লাগোয়া বাগান থেকে শুরু করে সাত রাস্তার ফাঁকা চত্বর পর্যন্ত
অন্ততঃ তিন থেকে চার বার তারও বেশি তো কম নয়  
দুহাতে মাখিয়ে বুকের ভেতর সবুজ ভেজা মাটির আদুরি হাওয়া ।

আনন্দ জেগে ওঠার মতো
আমাদের সাথে পাশাপাশি দ্রুত ছুটতো আরো অনেকে পারিবারিক ভাবে
নিভৃতে গল্পের ছুতোয় ঘরের শারীরিক বন্ধন ভুলে আপন মুগ্ধ টানে ।

পায়ের শৃঙ্খলায়
দ্রুত ছোটা ছুটির মধ্যে অলসতা ছিলনা
দু একটা কথা ছাড়া বিশেষ কথা বার্তা ছিলোনা
অথচ
অনেক ব্যক্তিগত কথা বলা হয়ে যেতো শরীরের তরঙ্গে দেখা দেখির লহমায়
অজান্তে শরীরে গড়ে উঠতো সম্পর্কের বাসা স্বাগতম শরীর আর এক শরীরের বাজনায় ।

আমাদের বয়স
কারোর মধ্যে কারোর রক্ত দুধের সম্পর্ক না ও থাকলে
একটা সক্রিয় সম্পর্কের ডানা আমাদের পাখি করে তুলতো রোজ সকালে
আমরা সবাই আকাশ হয়ে উঠতাম।
রোজ বসন্ত রোজ মহোৎসব অন্তরের আন্তরিকতা আকাশের নীলাভে
জীবনের বৈঠকখানায় অল্পস্বল্প আলাপে ।
আমরা সবাই জানতাম  একদিন না একদিন কাউকে ছেড়ে আগে বা পরে
চলে যেতে হবে ভবিতব্য জেনে
তবু একলা হওয়ার জন্য আমরা কেউ তৈরী ছিলাম না ।

বিকাশ দাস
মুম্বাই