আজ
বাবা নেই মা নেই  
চাকরি আছে   ঘরবাড়ি আছে
পাঁচ ভাই এর সংসারে ।

বাবাকে বিছানা নিতে হয়নি
সাত্তাতর পার করে চলে গেছেন নিয়ে চন্দন তুলসীপাতা   দৃষ্টিবন্ধ দ্বারে
না চাপিয়ে কোনোরকম বাড়তি দেনাপাওনার চাপ কোনো ছেলের ঘাড়ে
দিয়ে গেছেন আশীষ ভরা মুশকিল আসান দুহাত ।

শুনেছি পাড়াপড়শির উড়োহাওয়ায়
বাবা যাবার আগে   অনেক কথা বলে গেছেন মাকে গুছিয়ে
যেমন থাকবে
তোমার ভাগের পেনশন তোমার পাঁচ ছেলের সচ্ছলতার সংসার ।
আমার অবর্তমানের ছাতায়  
তোমার থান কাপড়ের একলার শুভ্র শাড়ি
বৌদের নিঃস্বার্থ সেবাযত্নে   বৃদ্ধাশ্রম বাড়ি
তোমার সাদা চুলের পাকে সুখ শান্তি ।

হালে
মা ও আশি পার করে ছুটি নিয়ে চলে গেলেন
বাবার মতো চন্দন তুলসী পাতায় চোখের চাহনি ঢেকে
রজনীগন্ধার ফুলের শয্যায় স্তব্ধ বুকের উপর গীতা রেখে ।  


আজও
পাঁচ ভাইয়ের ঘরে বাবা মা র যুগলছবি আর চরণের নিচে
দুজনের জন্ম মৃত্যু দিন ক্ষণ ।  
বৌ রা বিধি বিধান মেনে
সিত চন্দনের ফোঁটা পড়িয়ে
সাদা ফুলের   মালা জড়িয়ে
দীপের আলোয় ধূপের সুগন্ধি যত্নশীল হাতে
উজিয়ে ঘরের চৌহিদ্দি ঠিক ঠিক দিনে
জন্ম বিবাহ মৃত্যু তিন বার্ষিকীর আয়োজন ।

ঘরের বৌ দের
মাতৃত্ব মন তাই নরম,
দুফোঁটা চোখের জল ফেলে স্মৃতির পাতায়
বাবা মা র বিগত দিনের কথার বিবৃতির টানে
উষ্ণতার শ্রদ্ধায়
বৌদের পরস্পরের দেখার আন্তরিকতায়
ঘরের মঙ্গল কামনায়
পরিবারের বন্ধনে উঁনাদের স্পর্শ বাঁচিয়ে রেখেছে ঘরের নন্দনে ।
আবার পরোক্ষনে টেনে  
নিজের নিজের সংসার আলাদা আলাদা      নির্ঝঞ্জাট হেঁশেলে
উনুনের আঁচ দৈনন্দিন জীবনের সুখ দুঃখ আনন্দ বেঁধে আঁচলে ।


বিকাশ দাস / মুম্বাই