""তুই পারলি না তো""
___বায়জীদ বোস্তামী বাপ্পী


জ্বলন্ত সিগেরেটের কাছে শিখেছি
জ্বলে জ্বলে নিজের সুখ ঠিক খুঁজে নেয়,
আর ধোঁয়ারা সব নিজেদের গুলিয়ে ফেলে
প্রকৃতির সব শুদ্ধ বায়ূদের মাঝে আসলে।

তুই পারলি না তো !


তুই কিসের যাতনা নিয়ে চলিস
সব ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে চাস;
দেখিস না? রাত ঠিকি দিনকে কাছে টানে
অন্ধকার মুছে আলো ফিরিয়ে আনে।


তুই পারলি না তো !


আর আমি তো ঠিক আগের মতোই
অল্প আবেগেই চোখে পানি আনি,
ঝর্নার ঝরে চলা দেখেই অভ্যস্ত
পথের শেষ খোঁজাতেই ব্যাস্ত।


তুই পারলি না তো !


শুষ্ক বালি কণা হাতড়ে মরে, অপেক্ষায়
ভিজে শুদ্ধ হবার আশায় থাকে,
অবেলায়ও ঝুম বৃষ্টির দেখা মেলে না
চাতকও প্রহর গুনে বলে; এলে না।


তুই পারলি না তো !


পাগলের মতো হেসেও শান্তি আছে
কারোর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না,
শালিকের গলায় গয়না মানায়
শত শহর ঘুরে খুঁজে আনায়।


তুই পারলি না তো !


রাত জেগে কত কবিতার পশরা সাজাই
এ অসুখের এক নাম দিয়েছি; নির্ঘুম,
খুঁজলেও পাওয়া যাবে না এমন সুখ
অয়ানাও বলে এ কেমন পোড়া মুখ।


তুই পারলি না তো !


ধূলো পড়া উপহারও স'যত্নে রেখেছি
বৈরি হতে মন চায় পারি না ;ভেবে,
যদি নষ্টের সাগরে পড়ে যেতে হয়
এখনো হয়নি কিছুই নয়-ছয়।।


তুই পারলি না তো !


মুক্ত আকশে যে কী ভালোবাসা
একা না থাকলে বুঝবি না তা কখনো,
ঢিলে ঢালা জামাতে যে কত যুত
না নামালে বুঝতাম না ;প্রেমের ভুত।


তুই পারলি না তো !


পুনরায় পড়লি সেই সুযোগ পেয়ে
আর একটা ঘর আবার পুড়বে,পোড়াবে,
সুযোগ পেয়েও ভুল করিনি আমি
ঠিক জেনেছে তোর-আমার জগত স্বামী।


তুই পারলি না তো !