তার হাসি যেন বৃষ্টিস্নাত এক কম্পিত রক্ত জবা,
মৃদু সমীরনে দোলা দিয়ে যায় অবারিত সবুজ পল্লবে ,
বৃষ্টিস্নাত শুদ্ধ প্রকৃতির বুকে, ছুয়ে দিয়ে যায় মধু রঙ্গনে ,
প্রজাপতির ডানায় চড়ে, ভেসে বেড়ায় নীল জোছনায়
লজ্জা রাঙ্গা করে দিয়ে যায় সব ফোটা ফুলকে,
আমার নন্দিত কাননে।


ভূবন ভুলানো এক চিলতে হাসি দিয়ে সে ঢেকে দেয় সব যাতনা,
কচি ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরের মত,
ভোরের সোনালী রুদের ছোয়ায়,
মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে ঠেলে দেয় ; সব বিষন্নতা।


কৃষ্ণচুড়ার অফোটা কলিগুলো ভাবে নাইবা ফোটলাম আজি,
পৃথিবী আজ চেয়ে দেখুক এক মোহিনীর স্নিগ্ধ হাসি,
জোছনার জোয়ারের মায়া ছেড়ে, মেঘের আড়ালে ডুব দেয় চাদঁ,
ভাবে সে নাইবা বর্ষিত হল ধরণী, জোছনার মায়াবী আলোয় আজ।


ক্লান্ত বিকেলে নীড়ে ফেরা পাখিরা তোমার জানালায় চেয়ে দেখে,
উৎসুক চোখে, উল্লাসী মনে, ডানা মেলে নীল গগনে,
ভাবে যদি দেখি তার মায়াবী হাসি, ক্লান্তিটা কেটে যাবে সংগোপনে
নিয়ে যাব নীড়ে, একরাশ কৃত্তিমতা বর্জিত শুদ্ধতা,
কেটে যাবে তিমির রাত, স্নিগ্ধ হাসির রেশে আনমনে।