সোনালি ধানের এই সব ছোট গ্রামে
অজস্র ফসল ফলে কৃষকের লোনা ঘামে
বড় সুখে তাই মন হাসে তার
ভাঙা ঘরে সুখের জোয়ার বইবে যে আবার
কৃষাণ কৃষাণীর দগ্ধ প্রাণে তাই
ব্যথা লাঞ্ছনা কোন কিছুই আর নাই
সোনালি ধানের স্বপ্নে তাদের ঘুম আসে না চোখে
চাঁদের আলো খেলা করে কৃষাণীর মলিন মুখে।


মাটি রঙের দেহ তাদের,মাটির মত মন
মাটির সাথে মিশে থেকে তারা কাটায় সারাক্ষণ
ধীরে ধীরে কচি সবুজ ধানে রৌদ্রের রঙ আসে
কৃষকের কানে সে কথা ভেসে আসে বাতাসে
বহুদিন পর ক্লান্ত দেহে বুঝি শ্রান্তির হাওয়া বয়
সুখের ভেলায় ভাসবে তারা আর কষ্টের দিন নয়
দখিনা বাতাসে দোলে দোলে নাচে সোনালি ধানের শিষ
কৃষাণ কৃষাণীর ঘুম নেই চোখে,করে তাই ফিস ফিস।


বড় সুখে ঘরে তোলে তারা সোনা রঙের ধান
চারিদিকে শুনা যায় শুধু কৃষাণের জয়গান
বাংলার বধূ কার্তিকে সাজে এক নব বেশে
হিমেল হাওয়া হঠাৎ থেমে যায় নবান্নের এই দেশে
অবাক নয়নে চেয়ে দেখে সে বাংলার এই রূপ
শীতের স্পর্শে শত কোলাহল থেমে গিয়ে হয় চুপ
অধরে সুখের রেখা ফুটে কষ্টের দিন শেষে
কৃষাণেরে বড় কাছে টেনে নেয় কৃষাণী ভালবেসে।


(কবিতাটি আমি দশম শ্রেণীতে থাকতে লিখেছিলাম।তখন ছিল আমার কবিতায় কেবল হাতে খড়ি।লেখা পড়া ভুলে সারাদিন কবিতার ছন্দ নিয়েই বিভোর থাকতাম ।গদ্য কবিতা কি জানতামও না ভাল করে।অদক্ষতা মার্জনীয়।অন্তত সেই কিশোর কবির মুখের দিকে তাকিয়ে)