যে কবিতাটি লেখার জন্য আমি জন্মেছি
তা আজও লিখতে পারিনি
অজস্র ঝড় এসে কলমের নিবটাকে গুড়িয়ে দিয়েছে
বড় নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে কবিতার অক্ষর গুলো
নিষিক্ত জাইগোটের মত জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে গেছে
গত শতাব্দীর মার খাওয়া কালি।
সেই কবিতাটি আমায় প্রতি রাতে কাঁদায়
আর দিনের আলোয় হ্যাচকা টানে তুলে
ফেলে দিতে চায় সময়ের আবর্জনায়
তখন আমার ভেতরের কবি উপহাস করে
একটি আধুনিক কলমের অভাবে
আমি এক কবিতাহীন কবি হয়ে উঠি।
এ অপমান,এ লজ্জ্বা আমাকে প্রতিদিন
এক অজ্ঞাত পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়
সেখানে এক মুঠো আকাশের নিচে দুটি দাঁড় কাকের বসবাস।
লোকে সে যাই বলুক,
আমি নিজেকে কখনও কবি বলে পরিচয় দেইনি
কেননা জানি,
আমার লেখা ঠিক আজও কবিতা হয়ে উঠতে পারেনি
শুধু কবিতার মত একটি রূপ নিয়ে
অকবিতার কাছে হাত পেতে বসে আছে।


স্বনির্ভর বাংলাদেশ সেই চিরঞ্জীব কবিতা
বাঙালির জাতীয়তা সেই আহত কলম
বাঙালির জাতীয়তা বোধ সেই গুড়িয়ে যাওয়া নিব
পনের কোটি বাঙালি তার নিস্তেজ অক্ষর
আর বাঙালির শত বছরের স্বপ্ন
তার মার খাওয়া কালি।


(দুর্ভিক্ষের কাক:বইমেলা)