আয়না

সমুদ্রে বজ্রবিদ্যুত আকাশের গর্জন।
সমুদ্র মন্থনের গরল
আজও মনে বয়ে চলেছি।
মনের মধ্যে এক অসম্ভব চাপ অনুভব করেছি বার বার।
ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে,
এক একটা চেনা ঘরের জানালা।
নিজের অজান্তে মনের আয়নার সামনে
কবেই যে গৃহ বন্দী হয়েছি-
একটা মুঠো ফোনে যেন যুগের পারাপার।
কি জানি কি খুঁজি?
হটাত্‍ একটা হেডিং চোখে পড়ল।
“প্রেমের শেষ চুম্বন”।
কোন প্রেমিকা নাকি তার প্রেমিককে চুমু খেয়ে গুলি করেছে।
খুব আশ্চর্য্য মনে হয়েছিল!
নিজের মনেই নিজেকে প্রশ্ন করে উঠলাম।
এমা! এটা আবার হ্য় নাকি?
প্রেমিক হলে ঠিক ছিল,
প্রেমিকাতো পারেনা।
“চুম্বন” শব্দটা ঘেন্নায় ঘিন ঘিনিয়ে তুলল শরীরটা।
চোখের সামনে ভেসে উঠল সিক্ত অধর,
আর অবিশ্বাসের খঞ্জর।
নিজের অজান্তে মনটা অচেতন ভাবে বিদ্রুপ করে হেসেছিল।
খামে বন্ধ মনের গভীরে আলো জ্বেলে দেখলাম।
আজও দগদগ করছে ছলনাময়ীর ছলনার ক্ষত।
না! আমি গুলি করিনি।
বিশ্বাসঘাতিনির তকমা নিয়ে
সে আজও বেঁচে আছে।