বুক জুড়ে আছে ঘাস জলে ভেজা,
সবুজ মাঠ ছুঁয়ে আছে দিগন্তরেখা-
শরীর নিথর, অচল।
শুকনো আর্ত দুটি ঠোঁট-
চোখ ঝরাচ্ছে নদী; দিশাহারা ছলছল।


চোখ বন্ধ করে দিলেই যদি,সত্যি অন্ধকার হয়,
দিন দাবদাহে স্বস্তি পায়!
কান চাপলে, যদি বধির হওয়া যায়;
আর্তনাদ, হুংকার দূরে ছুঁড়ে, পাতালের দীর্ঘ নিঃশ্বাসকে মনে হয়,বুক ভরার শ্রেষ্ঠ  উপায়।


আত্মহুতির যজ্ঞ সমাপন,
অস্থি মজ্জার রস নিঃসরণ।
একদিন হঠাৎ মুহূর্ত এসে-
জাগ্রত করবে যে আছে চির ঘুমন্ত হয়ে।
পায়ের চিহ্ন -স্মৃতি রেখেছে মন্থর নিস্তব্ধতায়ে।


মন জুড়ে কেবল কালো ঘন মেঘ পুঞ্জীভূত-
  কিছু না বলা কথা,
বাস্তব জুড়ে আন্দোলনের ডাক,
বাজে ঘণ্টা, করতাল-
আকাশ, বাতাসকে ভরে- প্রার্থনা, দোয়া!


মাটি জ্বলে, ঠান্ডা শরীর,
বুক ভাসে বন্যায়,ভাঙে চর নদীর ।
ভালো কি, কেন, কার-  সব অজ্ঞতার মধ্যে, সময়ের আঁচড় পিষে ছোট্ট অনুভূতি,
রাত অষ্টাদশীর স্বপ্নকে রোজ করে বিক্রি।


=====================