অনেক দূরত্ব, কতটা জানা নেই,
যেমন মেপেছিল সময়,
তোমার আর আমার শহরের মধ্যে।
হঠাৎ একরাশ শেষ শ্রাবণের ভেজা
বাতাস, নিয়ে আসে গন্ধ, তোমার ভেজা বুকের !


খুব ভালো করে, দেখি নিজের বইয়ের মলাটে, কবিতার খাতার ভাঁজে- যদি পাওয়া যায় হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত অতর্কিতে!
ঘরের আলনায় কিছু কাপড়, ফাঁকা মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আলুথালু হয়ে!
বারান্দায় নীলকন্ঠ ফুল, চোখ মেলে
দেখে!


সেই তুমি, যে এসেছিলে নিজের অজান্তে মেঘে আঁকা আলপনার রঙ সাজানো মাঠে, জীবনের সাঁঝে।
প্রত্যাশাগুলো বশ করেছিল ,সমস্ত  দার্শনিক চিন্তা আর মননশীলতাকে!
আস্বাদ চেয়েছিল মন, নতুন বুনা ভোরের শিশিরের স্পর্শে।


টুকটাক মেরামতি করা,  আছাড় খাওয়া             স্বপ্ন, দিব্যি নতুন হয়ে গড়ে।
অপেক্ষায় একটু, একটু ধীর কদমে,
সময় ঘড়ি চলে।
অভিমান, অনুযোগের পাহাড় বুকে গড়ে উঠে! শেষ পর্যন্ত হলো দেখা,পাহাড়ের স্রোতস্বিনী ঝর্ণার ধারে।


কিন্তু তারপর - আর কি ছোট্ট আশার চাঁদ ডুবে যায়, স্মৃতিচিহ্ন ছেড়ে যায় বুকে- সব অনুশোচনা, জড়ো হয়;
কিছু পাওয়া, চাওয়া আর অনেক হারানোর ধুয়াশাতে!


আর আমি সেই ঘড়ি- আজও চেয়ে আছি; একভাবে দুটি কাঁটায় কিছু মরিচীকা জমেছে !
আশা আছে একদিন,সোনালি ভোরের সূর্য, ভরবে দাগী চাঁদকে চারপাশ ঘিরে!
ততদিন ও চাঁদ, করো অপেক্ষা- লাজুক হাসিতে কেবল মনকে জ্বালাতে থাকবে একটু, একটু চোখের জলের আগুনে জ্বলে!


==========≠================