ছোট্ট বেলায় খেলার ঘরে, রাঙিয়ে দিলে সবুজ মনে,  
কচিকাঁচা মনের পাতায় এঁকেছিলে আপন জনে।
খেলার মঠে হৃদয় তটে, বইছিল বেশ তোমার নৌকা;  
পালের বাতাস ছুঁয়েছিল, মনটা ছিল অবুঝ বোকা।
কচি ঘাসের ফরিং তুমি, সবুজ দেশে বসলে কোথায়?
ঝপাট করে সপাট জবাব নদীর জল মিশবে যেথায় ।
সবুজ তুমি সবুজ আমি, আকাশ গাঙে কোথায় ভিরে?
নদীর জল যেথায় মিশে নীলাম্বরীর  সাগর তীরে ।
পালের সাথে ভেলা তোমার,আজো মনে ভেসে চলে;
শিশু ছিলাম নাবিক হয়ে, বইছি আজো অথৈ জলে ।
কোথায় আবির মেখেছিলে, ছিলো না ত রঙের ছোঁয়া;  
সবই ছিলো বাতাস জুড়ে, বটের তলে শীতল ছাওয়া  ।
সবুজ রঙের এমন পরশ, যৌবনেতে পাই যে হরষ;
হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াই, একটু পেতে তোমার পরশ ।
দিনের বেলায় খেলেছিলাম রবির কাছে শিশুর খেলা ;
এমন খেলা দেখতে রবি, আসত চড়ে মেঘের ভেলা।
সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে, আসতে যখন খেলার মাঠে,
খেলার রঙের বাহার দেখে রবি তুমি কুঁচকে যেতে ।
সাতটি রঙের সমাবেশে ,রবি সদায় গরব করে !
শিশুর খেলার অযুত রঙে, সপ্তরঙ্গী যায় যে সরে ।
রাতের আঁধার, দিনের বাহার, সবই ছিল সমান রতন;
নেই জহুরী, নেই প্রহরী, কিসের রতন কিসের যতন ?
এ জগতে সবকিছুর ই হিসেব- নিকেশ চেয়ে থাকি ;
যে হিসেবের মিলন নেই, উদাস মনে বাতাস মাখি ।
কোথায় আছো রঙের তুলি, কোথায় তুমি নিরুদ্দেশ ?
রঙীন দিনের প্রজাপতি,  উড়ে এসো থাকবো বেশ ।


বাবুল আচার্যী    14/03/2018