শতাব্দীর তিরোধার এখনো আছে অনেক বাকি
তবু ....
কম্পিত বাতাসে ভেসে আসে অনেক পটকা শব্দ_
সেগুলো অনেক ফলাও করে_
পরাধীনতার আকাশে বিজ্ঞাপিত হলেও...
সে সব ছাপিয়ে একটিই  বুলন্দ আওয়াজ আমাদের_
কর্ণরন্ধ্র হয়ে হৃদকম্প বাড়িয়ে তোলে আজো  ।
গুম্ গুম্ করে হৃদয়ে গমময় হয় হৃদয় ।
ধমনীর রক্ত ফেটে বেরিয়ে আসতে চায়!
দাবানলে র স্ফুলিঙ্গ ঠিকরে আগুন ধরিয়ে দেয়_
সব পরজের মনে প্রাণে ।
সেই কঠোর কঠিন বজ্রনিনাদ ছিল নেতাজী তোমার,
দিল্লি চলো .....দিল্লি চলো ... দিল্লি চলো
বিপ্লবী গান, কথা,সুর, চেতনা, সশস্ত্র সংগ্রামের _
এক অমোঘ লক্ষ্যভেদী মাছরাঙা মাছ ইংরেজ নিপাতের_
অভীষ্ট  লক্ষ্যে সম্যক সাধনা করে ডঙ্কা মেরে_
বুঝিয়ে দিয়েছিলে শত্রুর শিবিরে ।
রক্ত চোষা জোঁকের কোন স্থান নেই মাতৃভূমি তে ।
ছলনায় মাটি আঁকড়ে রাজাধিরাজ হওয়ার অধিকার নেই ।
তাই তুমি টোকিও রেডিও থেকে বজ্রস্বরে বিগুল বাজিয়ে
ছড়িয়ে দিয়েছিলে আকাশে বাতাসে ;
স্বাধীনতা বুকের তাজা রক্ত চায়  ।
সেই কণ্ঠস্বর ভেসে বেড়ায় আজো_
সুদূরে মুদুরে অদূরে যুগের গরম হাওয়ায়।
সুর্যের উত্তরসুরি হয়ে আজো তুমি  আগুন জ্বালাও বুকে;
স্বাধীনতার পাল্কিতে বসে স্বর শুনি তোমার ।
তোমার বীরত্বের পদাঙ্ক বঙ্গ-অবঙ্গ সবার_
মনের ভেতরে ঘর বেঁধে আছে ।
তুমি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ছিলে না .......
তাই ত বজ্রপাতে র মত গর্জে উঠেছিল...
তোমার ফরওয়ার্ড ব্লক, আজান্দ হিন্দ ফৌজ ।
তুমি ছিলে জলন্ত আগ্নেয়গিরি যার লাভা.....
গলে গলে পড়েছিল শত্রু শিবির ইংরেজের ওপরে ।
তুমি জানতে কোলা ব্যাঙের আওয়াজে_
শত্রুর শীত ঘুম ভাঙে না ।
বোমা দাগতে হয় ।


বাবুল আচার্যী   24/01/2017