চন্দন গন্ধে গন্ধী বাতাস খুঁজে ফিরি, বনে বনে, মনে মনে;
অশ্বত্থের ছায়ায় মতো অঞ্চল খুঁজি,কোমল প্রবণ প্রাণে ।
হে অনুভূতি !তোমার অনুভব কবে সুর্যের প্রখরে জ্বলবে ?
অবাধ বারিধারে শুষ্ক ফাটল মাটিও জলে থৈ থৈ করবে  ।
পিঙ্গল হৃদয় কবে অর্গল সব ভেঙ্গে মঙ্গল উপাসক হবে ?
পিপিলিকার মতো লক্ষ লক্ষ লোক লক্ষ্যফলকে পৌঁছুবে ।
অমানিশা র অন্ধকারে হারিয়ে যাবেনা কুল হীন অঁধরচাঁদ ,
অন্তর দ্রোহীর দাবানলে কবে হবে সিধে  নুইয়ে পড়া কাঁধ ।
যে গন্ধে সুশোভিত সুরভিত করবে কালোমেঘের অতলে ,
ভালোবাসা বইবে ভেতরে সিন্ধু-নদী- মন ছাপিয়ে ভুতলে।


আমি খুঁজে বেড়াই অহর্নিশি ঐ সহজ সরল রেখার টানে ;
এক অমোঘ চুম্বক প্রাণশক্তি যদি পাই কোন কুলের ঘ্রাণে।
কে আছে সেখানে দাও না গো নীলাম্বরী র নীল টুকু প্রাণে,
দাও না,আকাশের ঐ শাদা কাপড় ছিঁড়ে সর্ত বিহীন দানে ।
ধবল কান্তি মেঘ ,সবুজের বসুন্ধরা,উদার উন্মুক্ত আকাশ,
যেন খোলা পাতা সব মেলা পড়ে আছে, আমার ইতিহাস ।


সবাই খোঁজে প্রিয়ার বন্দিত জনে,মধু মাখা হৃদয় মধুকরে ;
সে সুরভিত মনিকাঞ্চন ,তুমিই কি না জানবে কেমন করে ?
তোমারে যে দোলায় মনে,দোলে কি হৃদয় তাহার গোপনে ?
বাজে কি পোড়া বাঁশী সুরে সুরে,ভাসে কি আবির ফাগুনে?
আমি গানের সুর খুঁজি গো তনু মন সকল সবুজ কুঞ্জবনে ।
শীতল বটের ছায়ায়,দোয়েল পীহূ পাখির সুমধুর গুঞ্জরণে,
কঁচি কাঁচা ফুলেরা হেসে খেলে ফোটে, সেই চন্দন কাননে ।


বাবুল আচার্যী .  21/12/2016.