নিগূঢ় অন্ধকারেও সমুদ্রের জলরাশি তটে করে প্রহার ;
হৃৎপিণ্ডে জমানো রক্ত ও আঁচড় দেয় দেয়ালে বারবার ।
অনুভূতির শার্সির গায়ে লেগেছে দাগ;
নেত্র অপলক ধোঁয়াটে নিস্পন্দ বিবাগ।
তবু ছেঁড়া মালা জুড়ে দিতে,
মধুপুরের মধু ফিরে পেতে ;
মনের ক্যানভাসে কে সেই চিত্রকূট ,
পড়ে মাথায় বিশাল সবুজের মুকুট ,
অন্তর বাহিরের ঘুরপাক বিবাদী মোহনায় _
ফোটাতে চেয়েছে ফুল রাতের জ্যোৎস্নায় ।
বারেবারে ঘুরে ফিরে দেখেছি তোমায় ;
মন কাড়া ছায়া তুমি,অপরূপ সজ্জায় ।
সে কি অনিকেত অঞ্চল সুন্দর ;
নেই কোন বাহ্যিক ধুসর প্রান্তর  ।
কত আবরণী মেঘ করে আছে ,
শাখা প্রশাখা ঢাকা পড়ে গেছে ;
লৌকিকতা মৌচাকের মধু আছে বেশ ,
দংশনে জ্বালা করে ঝড়ে পড়ে ক্লেশ ।


হে মোর বিরূপ স্বরূপ,অন্তরেই যত অন্তর ,
দুলছে ফুল ত্রস্ত বনমালী হালদীয়া প্রান্তর ।
অন্দর বাহির সাজিয়েছি দোঁহে রঙ ডালা সজ্জায় ,
ফুল ডোরে বেঁধে তবু ভাঙে কুল হেরে সব লজ্জায় ।
বঙ্কিম অঙ্গ নিয়েছে সঙ্গ পড়েছে গগনের সাদা বাস,
তবু সড়ে সড়ে থাকি জাগে না মনে সবুজ দুর্বা ঘাস।
গগনের সঙে নীলিমার রঙে সাজবে মন কখন?
ব্যাধি ভরা দেহ ধুসর ধুলোয় মিলাবে তুমি যখন ?