মনপিপাসু ঝিলটার পদ্মপাতার জলবিন্দু গুলো ঝরে গেছে ;
জল ঝরে যেতে যেতে পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে বাসি রুটির মত ।
ঝরে গেছে ইউকেলিপটাসের পাতাগুলো ;
যেন কে কার আগে মাটিতে গড়িয়ে লুটোপুটি খাবে ;
রাস্তার পদদলিত ধুলিমাখা পথ বায়ু ঝরে হয় পরিপাটি ।
যেন নবাগত কেউ আসবে , আনবে একরাশ আলো;
আর শঙ্খ নাদে নূতন দিগন্তের সূচনা  করবে ।
বারবার এসে চলে যায় ;
শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত ,
এর নেইকো কোন অন্ত ।
শঙ্খচিল উড়ে যায়  নীল আকাশের বুকে ।
তাকিয়ে দেখে কেহ মরে পড়ে আছে কিনা?
অভিলাষা আমার ........
মনে বহুদিন ধরে করে আছে বাসা !
নবারুণে নবলোকে ঘর সব হবে খাসা ।
দিগন্তের শেষে ভোর হবে কবে ?
পথের ভিখারিনী দিনে দুমুঠো ভাত খেতে পাবে,
কিঙকর মেশানো চাল কুড়াতে হবেনা ,
মালবাহী ট্রেনের নীচ থেকে ।
অসাম্য ,কোলাহল , মানুষে মানুষে ,
হৃদয়-হৃদয়ে কাঁটা তারের ঘেরা ;
এই শৃঙ্খল বেড়ি যায় না পাড় করা ।
সে বৈশাখী আসবে কবে যেদিন ক্রন্দনরত,
ছোট্ট শিশুটিও গাছে নবাগত সবুজ পাতা দেখে;
খিলখিল করে হাসবে ।
দোলের বাজারে পাবে ,লাল ,নীল , হলুদের মেলা ,
নববৈশাখ, তোকে মিনতি করি ,
এনে দে তুই ওদের ব্যথিত হৃদয়ে ,
খুশির যত রঙ-বেরঙের ডালা ।


বাবুল আচার্যী 14/04/2016