অনন্য অমৃত সুধা  মাতৃগর্ভে পেয়ে সদা,
হৃদয়ে মঞ্জরী ফোটে ভাষার যখন ;
মাতৃ মুখে কি বুলি,  শুনি কত জুহি বেলি ;  
ছড়িয়েছে গন্ধ- বাহ নাড়িতে তখন ।
শিউলির মগডালে, নাড়া দিলে ফুল বলে;
সাজাব ধরণী আঁচল হিমাদ্রির পট;
অনুভূতির গৃহকোণে, নন্দ খেলে সর্বক্ষণে,
নন্দ বলে মাতা তুমি মধু ভাষা- তট ।
তব কোলে এত ছন্দ, ঘন ঘোর রাত্রি নন্দ;
মৃদুমন্দ বায়ু গন্ধে পুলকে আবেশে;
হৃদি নন্দ রক্ত কায়া, তারি পড়ে পরে ছায়া,
বৎসবঙ্গ মন অঙ্গ  বঙ্গ চারিপাশে ।
বঙ্গ ভাষার কত যাদু,  রূপে গুণে কত মধু;
অঙ্গে নিয়ে সঙ্গে গেছে কত গুণধর;
যত রূপ তত ব্যধি,  রক্ত ক্ষরণ চলে আদি,
প্রাণ গেছে গুলিবিদ্ধ পুড়ে বারি ঘর।
এ আমার সুখ দুঃখ, পুরে আছে যত কক্ষ,
বক্ষ মধ্যে ধরে আছে ভাষার সাগরে;
মনে হয় ডুবে যাই,  বর্ণ- বিম্ব খুঁজে পাই,
উঁচু রাখি বাংলা ভাষা স্বর্ণিম আখরে।


বাবুল আচার্যী   25/02/2018