আমি যাব না সেই পথে ,যাবো না আর ঐ তটে  ,
যেখানে বহে সদা, রক্ত নদী,গন্ধী বাতাস;
যেখানে সকাল সন্ধ্যায় আসে সাইক্লোন ঝড়,ধ্বংস হয়,
মানব সত্বা ,হৃদয় মন ,বট বৃক্ষ,সবুজ দুর্বা- ঘাস।
যেখানে বারোমাস অশ্রুজল- শ্রাবণে প্লাবিত হয় শুষ্ক ফাটল এ বুক !
নদী তটে এসে ভিজে যায় কাজলার কাজল,নেই মনে এতটুকু সুখ ।
নেই কাছে কেহ তার ,ভেসে গেছে মঞ্জরী সহ সব ফুল দল পাপড়ি ;
ভেসে গেছে আনমনে কম্পিত হস্তের বন্ধনে বন্দী জল শূন্য গাগরী ।
যেখানে জল স্থল বাতাসে ভাসে বারুদের পোড়া গন্ধ,
কান্নার রোল আর হাহাকার ,বিকট শব্দে ভাঙে কর্ণরন্ধ্র ।
যেখানে হৃদয়ের পাঁজরে ভেসে ওঠে শুধু,  ধু ধু বালুচর !
হৃদয়ের কাছে হৃদয়ের নেই সখ্যতা, কে কার  অনুচর ?
যেখানে বয়না গোমতি নদীর ঠাণ্ডা কুলীন বাতাস,
আদ্রতা র নেই কোন জল ছাপ _
মনের গভীরে চলাফেরা করে ,তাই এত বুনো সাঁপ ।
যেখানে বিধ্বংসী মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছে আজ কত শত কাফির ;
স্বপনে ও বপন করে রক্ত- মাখা বীজ , তাই ওরা এত অস্থির ।


ধর্ম তুমি সনাতনী, শুনেছি হাজার বটবৃক্ষ সমাজ থেকে ,
তবু কেন ওরা অন্তোদয় শূন্য, ধর্ম- বধির ?
এ দেহ ওদের এক শরীরী অবয়ব,কথা বলা শব...
যেখানে মৃত্যুদুতী শব্দরা জটলা পাকায়;
ঘুরপাক খায় ভুল পথ দিশারির দিশায় _
যমুনার কালো জলের মতো ।
যেখানে ত্রাহি ত্রাহি রবে ওঠে ত্রাস ;
ত্রাসে র কম্পনে জাগে মুক্তির বাতাস ।
মুক্তির বাতাসে জাগায় বিদ্রোহী প্রাণ;
দূর পরাহত তবু সোনালী দিগন্তের আভাসে _
গাহে গান জয় সাম্যের গান ।
গানের সুরে সুরে প্রতিদিন কাঁদে,  মা মাটির, ... এ অমর ধরণী ।


বাবুল আচার্যী    29/04/2017.