বঞ্চিত আজ সঞ্চিত করেছে
নয়নোপান্তে নোনাজল।
অবাক পৃথিবীরর সবাক মানুষ
করেছে বেজায় ছল।
সোনালি দিনের আশায় আশায়
সহিছে আজও নিপীড়ন।
হায়েনা রুপি মানুষগুলো
তাজা প্রাণ করে হরণ।
এই সব লুটেরা
সম্ভ্রম নিয়ে খেলে।
আর কতকাল যাবে ওদের
নয়নের জল ফেলে?
আর নয়, কর জয়গান
চালাও অধিকার উদ্ধারে নব অভিযান।
ঐ পিঞ্জর ভেঙে জিঞ্জির ছিড়ে
তুলবি রে তুফান।
হিম্মত হেঁকে চল একে একে
ভাঙবি দূর্গের সিংহদ্বার।
ওরে সর্বহারা রুখে দাঁড়া
সময় হয়েছে এবার।
দিগন্তের ঐ রুদ্র রবি
ছড়ায়েছে বেজায় তেজ।
চেয়ে দেখ দ্বিপ্রহরে
কালফনী কেমনে নাড়িছে লেজ!
কখন যেন কারে সে
করিবে কালো জওহর দান।
কখন যেন যাবে উরে কারবা আপন প্রাণ।
হও হুঁশিয়ার, হও হুঁশিয়ার
ওগো সর্বহারা।
পুঁজিবাদের পিশাচ পুজক
করিতে পারে তাড়া।
থাকিসনা আর অর্ধচেতন
করবি তবে করুণ রোদন।
নানান ছলে কূটকৌশলে
কেড়ে নেবে তোদের জীবন।
ওরে হারাবার নেই তো কিছু
আছে কেবল নিষ্পেশিত প্রাণ।
সাম্যের তরে অবনী পরে
করে যা তাই দান।



রচনাকাল :৩০ অগ্রহায়ণ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
সন্ধ্যা:৬:০০ ঘটিকা।