কবিতা
(রনি ই রানী)



নিবিড় নিশায় শরৎ উষায়
গ্রীষ্মের কাঠ ফাটা রোদ্দুরে।
তোমার তরে বেড়াই ঘুরে
সবুজ বাংলার নয়নাভিরাম প্রান্তরে।
কখনও বা জীর্ণ কুটিরে উঁকি ঝুঁকি মারি
দুখিনীর গহন মনের ব্যথা বুঝতে।
ঘুমে ও জাগরণে নশ্বর নিখিল ভুবনে,
দিবস রাতি তোমারে খুঁজতে।
আপনার আলয় থেকে বিহগ নিলয়
ঘুরি তোমার তরে বিজন পথে।
গোধূলী বেলা নিরালায় বসে
কতই কথা বলি তোমার সাথে।
কবিতা আমি তোমায় ভালবাসি
তুমি নভোনীলে, নভোতলে
মিশে আছো শিরা,উপশিরায়
আমার হাসিতে,আমার আঁখিজলে।
বটবৃক্ষের সুশীতল ছায়ায়
মমতাময়ী মায়ের মায়ায়।
তোমারে খুঁজি অজান্তে
অদেখা কোন অবলা কায়ায়।
কবিতা তোমারে খুঁজতে
ছেড়েছি আপন কুটির।
আমি এখনো সন্ধান করি তোমার সাথে
উদাস অনীল স্বপ্ন ভরা চোখ দুটির।
কবিতা শুধু তোমারে খুঁজতে
চেয়ে রই গগনদেশের তারায় তারায়।
অপলকে পলে পলে পুলক জাগে
হেরি মানিক জোড়া গাঁয়ের বকুল তলায়।
গাঁয়ের পথে বাঁকে বাঁকে
শুধুই তোমারে খুঁজি কবিতা।
তুমি উড়ন্ত শুভ্র বলাকার ঝাঁকে
তুমি শশী,তুমি পশি,তুমি সবিতা।
কবিতা চেতনার কেতন তুমি
শ্যামল বাংলার উর্বরা ভুমি।
রাত্রি নিশীথে অরূণপ্রাতে
সবখানে তুমি শুধু তুমি।
কবিতা তুমি অগ্নিবীণা
তুমি প্রলয় শিখা,তুমি নব ধুমকেতু।
তুমি মানবের তরে অবনী পরে
বহ্নি হাতে মানব সেতু।
কবিতা তুমি আমরণ অনশন
অধিকার আদায়ে পিচঢালা রাজপথে।
তোমার সন্ধানে রণে ও বনে
আসতে পারি অগ্নিরথে।


রচনাকাল :২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৩ বঙাব্দ
দত্ত গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সকাল ১০:০০ ঘটিকা।