ওরে ক্ষুদ্র তুই রুদ্ধ করে দে
(রনি ই রানী)


ওরে ক্ষুদ্র তুই রুদ্ধ করে দে কালের অসার কলরব
ক্ষুদ্র তুই রুদ্র হয়ে তছনছ কর সব।
অজড় যেমন নিথর থাকে মাটির প্রাচীরে
ক্ষুদ্র বলে থাকিসনা তুই পাপের  নষ্ট নীড়ে।
নষ্ট নীড়ে কষ্ট সয়ে সাজায়ে আপনারে চাকর
আর কতকাল থাকবি পাগল পুঁজিপতির দোসর?
তোর চেতন মনের কেতন দিয়ে মুছে পাপী পা
আপনারে জাগা ক্ষুদ্র মার ওদের উচিত ঘা।
ওদের পাপের প্রাচীর পাহারা দিয়ে কাটাস নে আর দিবস নিশি
অালস্য আর অজুহাতকে এক নিমিষে দে ফাঁসি।
শিরে দুই চক্ষু দিয়ে দেখনা ওরে চেয়ে
অশান্তির ঐ অগ্রদূত আসছে কেমন ধেয়ে।
শোষণকারীর শোষণে আজ কাঁপে ধরা থরোথরো
জাগা তুই আপনারে হসনা ভয়ে জড়সড়।
নগ্ন নৃত্যে মগ্ন যারা নিত্য
তুই ক্ষুদ্র সতত রইলি তাদেরি ভৃত্য।
তোর চিত্ত যদি নিত্য ভৃত্য রয়
কেমনে হবে ধরার বুকে সর্বহারার জয়।
ওরে ক্ষুদ্র করিস কিসের ভয়?
বুক চিতিয়ে দাঁড়া আনবি ধরায় লয়।
ওরে ক্ষুদ্র হেঁচকা টানে ছিঁড়ে ফেল দাসত্বের ঐ শৃঙ্খল
আপনার থেকে  না জাগলে কে ভাববে তোর মঙ্গল?
আয় হাওয়ার বেগে সমীরণ স্রোতে
আয় করবি সমর অরুণ প্রাতে।
আয় নয়নপ্রাতে রক্ত লয়ে
আয় রে ক্ষুদ্র আয় অভয়ে।


রচনাকাল :২১ পৌষ ১৪২৩ বঙাব্দ