বাজিল মনে মৃদঙ্গের সুর
(রনি ই রানী)



আজি বাজিল মনে মৃদঙ্গের সুর
গাহিল প্রেমের বুলবুল আমার অন্তঃপুর।
দেখিল নয়ন কোন অপরুপ রুপ
কে গো দিল জানিনা আজ অজান্তে মোর পরাণে ডুব।
আমারে ঘুমের ঘোরে নিশি ভোরে ডাকে
দেয়না দেখা কয়না কথা অভিমানে থাকে।
আমার পরানে মিশাইয়া পরান
তুলে কে গো অমর মধুর তান।
আমারে কী সে ভালবাসে
তাই বুঝি সে আমার ঘরে ঘুমের ঘোরে আসে?
দুর গাঁয়ে প্রহর কাটে তার রুপের নহর দেখে
হাসে আবার আহলাদে রংধনুর রংমেখে।
দিবস নিশি অমন হাসির পুলক প্রাণে জাগে
আমারে সে পাগল করে অপার প্রেমের রাগে।
তার চাঁদবদনে শুভ্র দশনে দেখে পুলক রেখা
মোর পরানে উঠল ডেকে দ্বিগুণ রাগে কুহু,কেকা।
মনের বনে উঠল ফুটে অনুরাগের ক্যামেলিয়া
এমনিতর আনন্দে আজ ডাকল দুরে কোয়েলিয়া।
অদেখা এ অনুরাগে নাচল আপন পরানটা আজ
সাজল আমার মনের পাখি মনের মাঝে অপরুপ সাজ।
তার কাজল চোখের কী যে শোভা
দেখতে দারুণ মনোলোভা।
আমায় পাগল করে তার পানে টানে
গভীর ঘুমেও মারে মোরে অনুরাগের বাণে।
কাজল কালো কেশের ভাজে স্বপন করে খেলা
রুপের ভারে নুঁইয়ে পড়ে দেখায় রুপের মেলা।
ফাগুন বুঝি আগুন ঝড়ায় কোমল তনু মাঝে
দেখে অমন রুপের বাহার মন বসেনা কাজে।
তার রুপের জ্যোতি আমায় নিতি উদাস করে রাখে
এমনিতর রুপ সুন্দরী দেখেনি কেউ লাখে।
লাজুক লাজুক দৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টি করে গান
সুরের ছোঁয়ায় মুগ্ধ করে আমার আকুল প্রাণ।
পরানটারে যায়না রাখা তার থেকে দুরে
তাই বুঝি  ভাই পরানখানি ডাকে সুরে সুরে।
রুপের রানী, সুহাসিনী তোমায় ভালবাসি
তোমায় ভেবে দুরের গাঁয়ে কাটে দিবস নিশি।



রচনাকাল :৬ পৌষ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
সকাল:৬:০০ ঘটিকা।