প্রভাত বেলার ছবি
(রনি ই রানী)



উঠল জেগে পাখি সব
করছে ওরা কলরব।
ফুলের কাছে ভ্রমর এলো
টুটে গেল রাতের কালো।
নিশির শিশির সবুজ ঘাসে
রবির আলোয় বেজায় হাসে।
মাঠের পানে মাটির টানে
আবার ধায় কৃষাণ কৃষাণে।
উঠল জেগে ভোর বিহানে ছোট  যুবরাজ
শয়ন পেতে নয়ন মেলে করছে কারুকাজ।
ভোরের হাওয়ায় দুলছে দেখ
বাগ বাগিচার ফুল
সেই হাওয়াতে মেলে দিছে রানীর কালো চুল।
চড়ই পাখির কিচিরমিচির
ঘুম ভেঙেছে বড় চাচীর।
ঘুৃম থেকে সে জেগে দেখে রঙীন রবির আলো
কার পরশে এক নিমিষে আঁধার পালালো।
প্রভাত বেলা করছে খেলা ভোরের হাওয়া ভাই
হাওয়ার মাঝে মিশে গেছে স্বপন গুলো তাই।
রোজ সকালে রক্তিম রবি পুব গগনে আসে
পাখপাখালি কাঠবিড়ালী তাইনা দেখে হাসে।
অন্নের অন্বেষণে নিখিল ভুবনে এখানে ওখানে ছোটে
নানান রকম গান শুনি ভাই নানান পাখির ঠোঁটে।
প্রভাত বেলার রুপের কথা লিখছে নবীন কবি
আয় দেখে যা পাড়া গাঁয়ের প্রভাত বেলার ছবি।
সারি সারি খেজুর গাছে
হাঁড়ি বাঁধা আছে।
আয় দেখা যা করিম চাচা
হাঁড়ি আনতে মারছে কাছা।
গাছিরা সব মাছি তাড়ায় বাঁধে হেথা জাল
কেউ যদি রস চুরি করে পারে বেজায় গাল।
সাত সকালে এমন ছবি কোথা পাবে ভাই
প্রভাত বেলার কথা গুলো তাই তো লিখে যাই।


রচনাকাল :২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
সকাল:৫:৪০ ঘটিকা।