আয় রে আমার অভাগা
বাংলার তরুণ বাঘা, বাঘিনী।
আয় দীপ্তি ছড়ায়ে ন্যায়ের নিশান উড়ায়ে।
ডাকে অধুনা এ নশ্বর মেদীনি।
আয় রে তরুণ করুণ দৃষ্টির ডাকে
উঠবে দেখিস ক্ষ্যাপা সূ্র্য
কালো মেঘের ফাঁকে।
নিঃস্বজনকে বিশ্ব মাঝে
অবহেলা করছে যারা দিবস রাতি।
ওরে সর্বহারা পাগলপারা
পায়ে দ'লে আয় তিমির রাতি।
জাগাও নবীন আপনারে।
অদৃষ্টের ঐ বন্ধন দ'লে
আর কতকাল রইবি তোরা
ধরার বুকে অবহেলে?
হিংসুকের ঐ হিংসার অনল
জ্বলছে আজও হল্লা হয়ে।
আয় শ্রাবণ প্লাবন রূপে
ময়লা সব নিবি ধুইয়ে।
প্রীতি ভরা অতীত স্মৃতি
সম্বল করে লও হে নবীন।
প্রবীণের পদধূলি লয়ে
রক্ষা কর দেশের জমিন।
দেখ গগনতলে অহংকারের আগুন জ্বলে
বিত্ত বিভব লয়ে চলে দর্পে।
আয় দলবলে অনল জ্বালাই
কালো কড়ির দূর্গে।
জাগো নবীন,
হরণ করিতে হিংসুক আর কমিন।
আয় সাথে আছে দুরে কাছে
সতত বিজ্ঞ কত শত প্রবীণ।
প্রবীণ যারা বাজাবে বীণ
আসবি নবীন, গাইবি গান
তালে তালে তাধিন ধিন।
বাজে রণে রন রনি কান পেতে শুনি
আয় আয় নাহিরে সময় রনপা লয়ে।
বাজাও রণভেরি আর কিসের দেরি?
আয় নবীন আয় দঙ্গল বেঁধে অভয়ে।



রচনাকাল :২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৩
বঙাব্দ
পাথারিয়া,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
৮:২০ ঘটিকা।