আমার গানের বুলবুলি
ঘুমিয়ে আছে বাঁশ বনে।
কেউ জানেনা কত আপন
ছিল সে মোর এই ভুবনে।
সকাল সাঁঝে সকল কাজে
শুনেছি সুর তাঁহার মাঝে।
কোন কারনে বুলবুলি মোর
দিয়ে গেছে আঁধারের ঘোর।
আমার গানের বুলবুলি
কথায় কথায় ফোটাত কলি।
হেসে হেসে বলতো কথা
জানতনা কেউ এমন করে আমারে সে দেবে ব্যথা।
আমারে সে বাসতো ভালো আকুল পরাণ দিয়া
তাই বুঝি হায় তাঁহার তরে কাঁদে আমার হিয়া।
আমার গানের বুলবুলির কন্ঠ সুমধুর
তাঁহার মধুর সুরে হারিয়ে যেতাম কোন সে অচিন পুর।
বুলবুলি মোর দিবস নিশি আসতো আমার কাছে
আমি তারে বাসতাম ভালো ঘুরতাম পিছে পিছে।
বলতো আমার বুলবুলি কতই হাসির কথা
শুনতো যে এক নিমিষে হারিয়ে যতো মনের ব্যথা।
নামটি ধরে ডাকত সদা বাবুল বাবুল বলে
আমার কাছে আসতো বসতো সতত নানান ছলে।
তাঁহার সনে মনে মনে ছিল দারুণ ভাব
বুলবুলি মোর বুঝতো কেবল আমার কেমন স্বভাব।
সেই গানের বুলবুলি মোর ঘুমায় একা বাঁশ বনে।
তারে ছাড়া দারুণ ব্যথা সইছি আমি এই ভুবনে।
আলোর ভুবন আঁধার হলো একা আছি তাই
বুলবুলি মোর বাঁশ বনে একাই নিয়েছে ঠাঁই।
বুলবুলির দুটি ছানা নিবিড় আর রাহী
ওদের মতন জনম দুখী আর একটাও বুঝি নাহি।
অবুঝ দুটি এতিম ছানা ঘোরে দ্বারে দ্বারে
কোথায় ওদের বুলবুলি বাবা আসে না আর ঘরে।



রচনাকাল :৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
সকাল:৮:০০ ঘটিকা।


পটভূমি : কবিতায় বুলবুলি বলতে আমার শ্রদ্ধেয় মরহুম ভাই," রতন "কে বুঝিয়েছি যে আমাকে অনেক ভালবাসতো,আদর করতো।আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।