নাটোরের কানাইখালি মাঠ
জুলু মিয়ার পুকুরের ঘাট
এর মধ্যে লেফ্ট রাইট হাঁটা
পুকুরে সাঁতার পানির ঝটা
কানাইখালি মাঠ
তেমন নয় বিরাট
ছিলনা তেমন ঠাটবাট
নিয়েছি সেখানে জীবনের অনেক পাঠ


জগিং নিয়মিত সকাল বেলা
বিকালে কতজন মিলে কতকিছু খেলা
ভোরের শিশির শীতল পরশে
মন ভরে যেত অনাবিল হরষে
ভোরে শিশিরে সিক্ত পা
বিকেলে ঘামে ঘর্মাক্ত গা
বুকের ভিতরে এখনও আহা!
এরপর জুলুমিয়ার পুকুরের ঘাট
পুকুরে ঝাঁপ ঝপাট ঝপাট


বসে চাঁদনী রাতে
গল্পে গল্পে যেতাম মেতে
চাদনী রাতে দূর্বাঘাস
গন্ধ বিলাত উষ্ণ বাতাস
মৃদুমন্দ ঝিরিঝিরি হাওয়া
স্বছ্ব আনন্দে তুচ্ছ আড্ডা দেওয়া
দেরী করে বাড়ী যাওয়া
মা বাবার বকা খাওয়া
বাতাসে দূর্বা ঘাসের গন্ধ
করে দিত অন্ধ
এ অন্ধে বন্ধ হতোনা পাখা
বকাবকি অতটা গায়ে হতোনা মাখা


মাঠে এখন আর হয়কি খেলা?
শুনেছি দিনে চরে গরু রাতে বাহারী মেলা
কানাইখালি মাঠের ঘাস
নিতে কি পারে মুক্ত নিঃশ্বাস?
এখন কি যায় বসা জোৎস্না রাতে?
নানা রকম নাকি ভীতি আছে তাতে
আছে নানা রকম দ্বন্দ্ব
সমাজ শিকল হারিয়েছে ছন্দ
বাতাসে রাসায়নিক গন্ধ
কেমন আছে কানাইখালি মাঠ?
কেমন আছে জুলু মিয়ার পুকুরের ঘাট?