নদির কঙ্কাল
//—আজগর আলী—//

সময়ের টাইমলাইনে ঝুলছে
আমাদের গুচ্ছগুচ্ছ হাহাকার—
সফলতার গুঢ়ার্থ বুঝতে বুঝতে
আমাদের আয়ু সার—

গ্রিনিচ মান বরাবর
এসে আমরা ফেরৎ চাইছি আমাদের
প্রাক্তন শৈশব—
কিন্তু নিদারুণ মহাকাল
আমাদের দুচোখের কার্নিশে ঝুলিয়ে
দিচ্ছে নদির কঙ্কাল—




ঢেউয়ের বিছানায়

//—আজগর আলী—//

অতঃপর মদের গ্লাসের মতন
আমাদের ঘোরগুলো ফুরিয়ে গেলে
আমরা হেঁটে ফিরতাম জোৎস্নার অমিত উঠোনে—
ফিনিক্স পাখির বেঁচে থাকার
গুঢ়ার্থ ঝুলিয়ে দিতাম উদয়াচলের ডানায়—
গাছের শেকড়ের মত গেঁথে যেতাম
হাওয়ার ক্বলবে—
নাগনাচের ফণিল ব্যাকরণ ভেঙে তৈরি করতাম ব্যাঙাছির অমলাশ্রয়—

এমন সাতপাঁচ ভাবতেভাবতে
জানি না কত দশক কাটিয়ে দিচ্ছি ঢেউয়ের বিছানায়—
কিন্তু, আমাদেরতো কোনো আলবাট্রস নেই—
যারা আকাশ ফেঁড়ে তেড়ে আসবে
আমাদের কাঙ্ক্ষার পাটাতন বরাবর—





বরফের দ্রাঘিমা পেরিয়ে
//—আজগর আলী—//

বরফের দ্রাঘিমায় উড়ছে কেবল হিমাঙ্কের নগ্ন বেলেল্লাপনা—
উষ্ণতার ইতিবৃত্ত বুনতে বুনতে
সে সুদূর থেকে ছুটে আসে একখণ্ড ক্লান্ত সাইবেরিয়া—

এইসব শীতকাতুরে পাখিদের
ঠোঁটের কার্নিশে ঝুলেথাকা জলদানা
শিল্পের আঙ্গিকে ভেঙে দেয় উসকো খুসকো পাতাদের নিবিড় মৌনতা—

ধ্যানে-জ্ঞানে রূপোলি শিরিরেরা
প্রার্থনা করে একটি সমৃদ্ধ সকাল—
এখনও ফুলেরা যাচনা করে অকৃত্রিম যৌনতা—
কিন্তু ঋণের বোঝা নিয়ে
সে কবেই পালিয়ে গেছে আমাদের হাইপেরিয়ন—
বিগত কয়েক দশকধরে এখানে অজস্র ঘুঘুর চোখ পাহারা দিচ্ছে একটি সুনসান ফাঁদ—

অদূরের বনে
গাছেদের অজান্তেই রচিত হয় কুয়াশার নিশ্ছিদ্র মানচিত্র—

এসব ভাবতেই দুচোখের সীমানা
ডিঙিয়ে নেমে আসে এক আকাশ শূন্যতা—