রাত দুপুরে তাল পুকুরে,
ভুতের মেলা বসে।
ভুতেরা সব খেলা করে,
তাল খায় চুষে।


ভুতের রাজা মুণ্ডু হীন,
চোখ মুখ বুকে।
মানুষের কাঁচা মাংস খায়,
রক্ত গায়ে মাখে।


ভুতের রানীর তিনটি চোখ,
গলায় মানব খুলির মালা।
মানুষ পেলেই ঘার মটকায়,
বুঝায় মনের জ্বালা।


রাজার ছেলের নাক নাই,
চোখে আগুন জ্বলে।
রাত দুপুরে মানুষ পেলে,
আস্ত গোটা গিলে।


রাজার মেয়ের সাদা চুল,
হাওয়াতে সে উড়ে।
বড়ো বড়ো নখ দিয়ে,
মানুষ জখম করে।


প্রজারা সব ন্যাংটা নাচে,
বাজায় মাথার ঢোল।
কাঁচা মাংস খাবার জন্য,
রাতে করে গণ্ডগোল।


দাদু আমার বেজায় চালাক,
এমন ভুতের গল্প কয়।
ছেলে মেয়ে সবাই মোরা,
খুব পাই ভয়।


এক রাতে স্বপ্নে দেখি,
তাল পরেছে ভাই।
বিছান ছেরে লাফিয়ে উঠে,
তাল পুকুরে যাই।


অনেক তাল কুঁড়িয়ে নিয়ে,
মনে খুশি পাই,
দাদু ভাইয়ের ভুতের গল্প,
আমি ভুলে যাই।


এমন সময় হঠাৎ করে,
পাতা করে ঝর ঝর।
তাল গাছটা ভাঙ্গলো বুঝি,
বাতাসে করছে মড়মড়।


পিছন থেকে দুটি আলো,
আসছে আমার দিকে।
এবার আমার মনে পরে,
দাদুর ভুতের গল্পটাকে।


গলায় এবার তৃষ্ণা পেল,
বুকটা করে ধড়ফড়।
গোটা শরীরে কারেন্ট মারে,
কাঁপতে থাকি থরথর।


চিরন্তন সত্য এটাই একদিন,
মরতে হবে ভাই,
এই কথাটি মনে করে,
সাহসী হয়ে যাই।


গামছা দিয়ে কোমর বাঁধি,
মুষ্টি বাঁধি হাত।
ন্যাংটা ভুত কাছে আসলে,
পাছায় মারবো লাথ।


দেখতে পেলাম ইঁদুর বেটা,
গাছে উঠা নামা করে,
ইঁদুর বেটার কর্মকাণ্ডে।
তাল পাতা ঝরে।


পিছন দিকে দেখি এবার,
বনবিড়াল মূরগী চুরি করে।
তাল পুকুরে দেখেছে আমায়,
ছুটছে তাই জোরে।


বনবিড়ালের চোখ রাত্রি বেলায়,
আলোর মতো জ্বলে,
এসব কীর্তি দেখার পরে,
ভুতকে গেলাম ভুলে।


তাল কুঁড়িয়ে বস্তা ভরে,
এলাম এবার বাড়ী,
সকাল বেলায় উঠে আমি,
দাদুর টানলাম দাড়ি।


রাত দুপুরে তাল পুকুরে,
কুঁড়িয়েছি অনেক তাল,
দাদু তোমার ভুতের গল্প,
একবারে ভেজাল।


ভুত বলে এজগতে
কিছু নাই ভাই,
ভুত, পিচাশ গুজব কথা,
মুখেই শুনতে পাই।


মানুষ নামের বড় ভুত,
দেখতে পাওয়া যায়।
সুযোগ পেলেই ভয়ঙ্কর,
মানুষ মেরে খায়।


**************