দেখ  দিগন্তে নামে  যেন রূপের  আলো
রাত-দিন মায়াবী রঙিন শরতে  ভালো ।
হাসিছে দেখ গিরী-নদী, জমিন-আকাশ
নির্জনে পশুপাখি গুনগুনিয়ে গাইছে যেন
স্নিগ্ধ নির্মল বাতাস।।
কালভাদ্ররে দেখেছি বারমাসের তের পূজা
কত, ধর্ম ভিরুতায় গোড়ামি শত অন্যায়
অবিরত।
কালের সাপেক্ষে কালি  দূরের  জন্য দূত
মহামনিষি; রূপের আড়ায় বেঁধেছিল যেন
শত জন্মের শত উৎসবে উদীয়মান লাল
রঙের সূর্যকে করেছিল সাক্ষি।
একটাই মা মোদের অভাব রাখে না কোন
আলো, বায়ু, প্রাণ জলে রেখেছে ভালো ।


বৃষ্টিতে গায়ের বধু কৃষানির আঁচলে ভেজা
পানি,সেই সাথে মাঠে সবুজ ধানে সোনালী
রঙের ঝলকানি ।
কৃষক হৃদয় তব নেশায় মেতে প্রিয়সিকে
দেখে দেয় মিষ্টি হাসি, যেমনি এই সুন্দর
প্রকৃতি তেমনি যেন তুমি!
রূপ মাধুর্যে সাবলীল মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী
দেবী।
কোথায় গেলে বউগো ললিতা দাস, দেখনা
প্রকৃতিতে বাঁজছে যেন মা দুর্গার আগমনের
আভাস!
ধান উঠবে ঘরে এবার তোমায় দেব শাড়ি
দুর্গা পূজাই যেতেও পারি তোমার বাপের
বাড়ি।
চারিদিকে আজ মৃদু বাতাস স্নিগ্ধ নীল আকাশ
ঋতুরূপের গন্ধে মাখা চাঁদনি রাতে শিশিরে
ভেজা সবুজ দুর্বাঘাস।
আয়রে মাগো কৈলাস থেকে মর্ত ভূমি,
আয়রে তুই আমার বাড়ি আয়; সাজাব এবার
শারদ অর্ঘ্যে মন্দিরে, ঘটে নিয়ে অম্রপল্লব আর
তুলসি পাতায়।
থাকবে সবে সন্তান তব তোমারই আরাধনায়
দশভুজা, আদ্যাশক্তি, মহিষমর্দিনী, মহামায়ার
আগমন বার্তায়।
ষষ্টি আর সপ্তমিতে দেখব তোমার মুখ,তোমায়
পাওয়ায় করবে কত বাহানা, অষ্টমিতে করব
আরাধনা, চাইব সবাই সবার শুভ কামনা।
তারপর নবমীতে নাচে গানে করবো মজ়া,
করবো মোরা আরতি।
দশমিতে দেব বিদায় যাবি শ্বসুর বাড়ি, কাঁদবে
সবে শান্তির আড়ায় মায়ের আঁচল ছাড়ি, দেব
প্রতিমা বিসর্জন;
স্মরিয়া স্মৃতিস্তম্ভে মায়ের আসা-যাওয়ার কীর্তি,
দেখবে সর্বজন তব দুর্গাপূজা উৎসবের আলোড়ন।।