কে বলে মাতাল তুমি অনুসর্গ আবেগে
লম্প ঝম্প কম্পিত এই উদাস্ স্বপ্নিলে;
ঐ সঙ্গে তব উল্লাস ভূবনে।
তরু, বৃক্ষ নাচে বিশ্ব তারি আগমনে
সদা নিরঞ্জন দেখে স্বপ্ন তারি নয়নে।
গৌরবে রুদ্র আমি অবাক চেয়ে ;
তোমার সপ্তদশের খেলা দেখে
তুমি,“
সপেছো,
“শত জ্বালা মৃত্তিকার মাঝে শববেশে
আজ বিশ্বমাঝে”।
রেঙেছো,
“সুখের নেশা ভাব-দশে
আঙ্গিক তব উল্লাসে,কেলিনু
বিজনবালা গেও শেষে”।
বেধেছো,
“মায়া তুমি দিব্য লোকে
ভালোবেসে, ভালোবেসে”।
দেখেছি,
“পুষ্পে ভরা শস্যখেতে তৃণ হয়ে
মিটায়েছে  জ্বালা নিরঞ্জনে ;
প্রেমডোরে, প্রেমডোরে”।
আমি দেখেছি,
“তোমারে ছায়া হয়ে
কত প্রভাতে, হেমন্তের শিশিরে,
শীতের কুয়াশায়, বসন্তের কুহু কলরবে
গ্রীষ্ম, বর্ষার রুদ্রপাতে”।
তবুও ভরেনা যেন উদর তৃপ্তিতে।
আমি,
“চাইনা রবী আজ দিব্যলোকে, যেখানে
বহিছে বিজ্ঞ মেলা দুর্জনে,দুর্জনে
ভুগছে সর্বদা সজ্জনে।
চাইনা চন্দ্র ঐ রাতের আকাশে, যেখানে
কালিমা জড়িয়ে আছে”।
দেখ,
আজ তারা সৌখিনালয়ে কৃপা চাহে
তোমারি কাছে, তোমারি কাছে।
সেটাও তোমার ভালোলাগে, ভালোলাগে ;
দয়ালু দয়াময় হেসে হেসে দয়াভারে
কৃপাডোরে ।
আমি, চাইগো নিরঞ্জন শুধু তোমাকে
সিজদা করতে মম লোভ ছেড়ে ;
ভিখারি হয়ে
এই লভ্যলোকে, সভ্যলোকে ।