ঘু্মের ভিতর থেকে জেগে দেখি
তুমি রেখে গিয়েছ অনন্য এক সাক্ষর।
তুমিইতো সেই সব হৃদয়ে জেগে থাকা
আলো ছায়ায় সবার প্রাণের ঠাকুর।
ভোরবেলাতে পাখীর ডাকে যে ফুল ফোটে
বিকেলবেলায় তায় ঝরে যায় মাটির উপর।
তুমি যেন সেই ফুলের গন্ধ ভরিয়ে দিয়েছ
অন্তঃপুরের গোপন ঘর, তুমিই প্রাণের ঠাকুর।।
যে ছেলেটা আপনমনে বাজায় বসে বাঁশি
তোমার সুরে সুর মিলিয়ে অলস একটা দুপুর।
মন যে তার হারিয়ে যায়, কোন সে নিরুদ্দেশে
তুমিইতো তার প্রাণসখা, তুমিই প্রাণের ঠাকুর।
যে মেয়েটা মন খারাপে মম চিত্তে নিতি নৃত্যে
ভুলতে থাকে ব্যথা সকাল রাত্রি দুপুর।
তার হৃদয়ের ছন্দে সুরে, তুমিই থাকো নিত্য ঘিরে
তুমিই যে তার জীবনতরী, তুমিই প্রাণের ঠাকুর।
আপনমনে নদী ও ধায় সুদূর মোহানায়
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, বৃষ্টি বাজায় নূপুর।
কেমন করে মিলিয়ে রাখো, অষ্টপ্রহর বাঁচার সাঁকো
তুমিও কি ওদের সখা সবার প্রাণের ঠাকুর।
সুখে আর দুঃখের দিনে বিপদ আপদ গুনে গুনে
গান কবিতায় ব্যথা জুড়াও আনন্দ সুমধুর।
আসন পেতেছ বিশ্বজুড়ে, সব হৃদয়ের মাঝখানে
তুমিইতো সে বিশ্ববাউল, সবার প্রাণের ঠাকুর।