অনবদ্য বর্ণমালায় জলে স্থলে অন্তরীক্ষে
অপরূপ অঙ্গরাগ ভূষণে সজ্জিত ওহে তাপস ।
তোমায় যেন কতক চিনি কতক অজানা
ধুসর নিহারিকা পুঞ্জে কি তুমি করো বাস ?


অর্ধনির্মিলিত আঁখি জুড়ে কি যে অপরূপ খেলা
ভাঙ্গা গড়া অবিরত নির্মান অবিরাম অনন্ত কাল ।
বক্ষ আধারে নিবিড় অন্ধকারে যে নিরক্ষরেখা
সেখানে বুঝি চকিতে থমকে গেছে দিকচক্রবাল ।


কালাকালের দিনলিপি নিরিখে আগত গত বর্তমান
অঙ্গুলি হেলনে সময় দাসত্ব করে যেন ক্রীতদাস ।
পূবে আর পশ্চিমে অবিশ্রান্ত গোপন রক্তক্ষরন
এখানে সৃজন ওখানে ধ্বংস চলে নিত্য বারোমাস ।


দৃষ্টি নিক্ষেপে বরিষন মুখরিত ঘন সবুজ অরন্য
সৃষ্টি অনাসৃষ্টি নিমেষে করেছ সুনামি দোদুল্যমানে ।
অগণিত জনগণ নিজ কক্ষপথে করে তোমা অন্বেষণ
দাওনি সাড়া ? কি যাতনা যাপিছ নিজ অন্তর-গানে ।।