যত দূর চোখ যায় চেয়ে দেখি
হালকা ঘন কুয়াশার চাদরে অনাবৃতা পর্বতমালা
ওরা, অপেক্ষমান হয়তো তোমার জন্য!
দীর্ঘ সটান আকাশমুখী দুরের বৃক্ষগুলো
শরীরে হীরককণার কুচি মেখে নিথর দন্ডায়মান
ওরাও কি নতুন একটা দিনের সাক্ষী হবে ?
পাতার উপর টুপ শব্দ শুনে দেখি
হিমে ভেজা কুমারী পাতার অঙ্গশোভা
হয়তো সেও শুভ এক মুহুর্তের অপেক্ষায় ;
অজানা এক পাখীর ঘুম ভাঙানিয়ার প্রতিধ্বনি খবর
ছোটে... এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে ;
সব নিস্তব্ধতা টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ।
আলোকিত রক্তবর্ণ পুবের আকাশ থেকে
এক উজ্জ্বল শলাকা সন্তর্পনে কুয়াশার চাদর সরাচ্ছে
হীরককণার যত টুকরো সাতটা রঙ মেখে নিচ্ছে ;
যেন সদ্যস্নাতা কুমারী রোদ্দুরে মেলে দিচ্ছে এলোচুল ।
ইথার তরঙ্গে তখন আহীর ভৈরোতে রবিশঙ্করের ধুন।
আমিও । এমন এক সকাল উপহারের অপেক্ষায় ছিলাম।