সড়ক দুর্ঘটনায় আমি সম্পুর্ন অচেতন
এখন প্রান্তিক এক সদর হাসপাতালে
নিঃশব্দে পড়ে আছি নিদ্রিত চক্ষে
অনবরত যন্ত্রনা রক্তক্ষরণে সারা শরীর সিক্ত
পরিবারের আর কে কোথায় জানিনা !
মাথার চামড়া জিভের মত উল্টে গেছে
চোখের উপর তীব্র আলোতে অস্ত্রোপচার
অনবদ্য কাঁথা স্টিচে মস্তকের অপূর্ব বাহার ।
এখানে নয় পত্রপাঠ বিদায় কল্লোলিনী কলকাতায় ।
আমি তো জনপ্রতিনিধি নই
তবু ও উনিশ ডাক্তারের পরশে ধন্যা ।


রাত ফুরালো সাত সকালে সরকারী জরুরী বিভাগে
CT স্ক্যান XRAY রিপোর্ট এখুনি লাগবে ।
আমার করুন অবস্থায় বিশাল Q পথ করে দেয়
সময় এবং আমরা যন্ত্রের বিরামের অপেক্ষায়  
আমার প্রিয়রা এখন আমার শরীরের বাহক
শরীর নির্গত জলে অসম্ভব রকম সংযমহীনতা
বুকের উপর দুহাত রেখে প্রশমন করি সহ্যক্ষমতা ।
আজন্ম লালিত নরক ঘরের ছবি বুঝি এইটা ?
সারাঘর নানারঙের রক্তছাপ আর রক্তগন্ধময়
ডাক্তার অতিকষ্টে মস্তকে নতুন তুলোয় জড়িয়ে বলে
এখানে নয় ওইখানে ভালো হবার সকল উপায়
সেখানেও দেখভালের শেষে একই ধ্বনি উচ্চারিত
ওইখানে ভালো সুস্থ হবার আছে সকল উপকরণ ।
এমনই আমার কপাল, কেস ডায়েরি নম্বর নেই ।
তাই সেখানেও বিফল হয়ে ফেরত হয়ে যায় ।
অবশেষে নিজ উদ্যোগে ঠায় মেলে এক সুস্থালয়ে
যমের সাথে এখনো চলছে একপেশে লড়াই ।
আমি তো জনপ্রতিনিধি নই
তবু ও উনিশ ডাক্তারের পরশে ধন্যা ।