আজ বুল্টি বড় হয়ে গেল নবমশ্রেণী
তাই স্কুলে নীলপাড় সাদা শাড়ি  ।
ওর বাবার একটু অনিচ্ছা,
কী জানি শাড়ি পড়লেই নাকি মেয়েরা হটাত্‍ বড় হয়।
কাল রাতে বুল্টি ভাল করে ঘুমোয়নি,
বারবার ঘুম থেকে উঠে নতুন শাড়ির গন্ধ নিচ্ছিল।
বুল্টির বন্ধু কণিকা বাড়িতে এল
দুজনে হাসতে খেলতে নতুন শাড়িতে স্কুলে গেল ।
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিল ...
সেই ছেলেটা যাকে দেখলে ওর মন ভাল হয়ে যায় ।
গায়ের রঙ একটু কাল মাথার চুল কোকড়ানো,
সানগ্লাস চোখে, ভীষণ ভাল লাগছিল। আজ আবার  
বুল্টির ভীষন কথা বলতে ইচ্ছা করছিল।
পাশ কাটিয়ে যাবার সময় ছেলেটা
বলে গেল - দেখা হবে বিকেলে।
আর সাথে সাথে হৃদপিণ্ড উঠল নেচে
চোখের সামনে ভেসে ওঠে দীপাবলি রাত।
- এযে মেঘ না চাইতে জল।


কণিকা সবজান্তা।
- হ্যাঁরে কুনাল তোকে কি বলে গেল?
বুল্টি অবাক - তুই ওকে চিনিস !
হাসতে হাসতে বলে - চিনবনা কেন ?
ওতো আমার মাসতুতো দাদা কুণাল।
তোকে খুব ভালবাসে, বেচারী বলতে পারছিলনা।
তাই আমার শরণাপন্ন।
আজ মনে হয় তোকে প্রপোজ করবে, সাথে যাস।
তুই তো মনে মনে ওকেই চাস! তাইনা?
যা বলে দেব সেইমত ঠিক ঠিক করবি।


বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা শেষে রাত্রি
মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরলোনা ।
খোঁজ খোঁজ এ পাড়া ও পাড়া বন্ধুর বাড়ি।
রাত জেগে রাতভর অনেক অনুসন্ধান।
শেষরাতে লেকের জলে মেয়ের লাশ মেলে,
অবিনস্ত নীল পাড় সাদা শাড়িতে !