নাটকের শেষটা পাতা উল্টে দেখে নিয়েছিলাম ।
ছেলেটা আর মেয়েটা এই অবস্থায় এখন কি করবে?
ছেলেটা গাছের সাথে হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায়
মেয়েটা ছিল অচেতন উচ্ছিষ্ট আলুথালু বেশবাসে ।


অনেক চেষ্টা করে ছেলেটা নিজেকে মুক্ত করে  
ছুটে গেল মেয়েটার কাছে দেখে আঁতকে ওঠে
অনাবৃত শরীর টুকরো কাপড়ে অতি যত্নে ঢাকে  
ক্ষীন শব্দ 'একটু জল ' হঠাত খুশি এখন ও  বেঁচে ।


আঁজলা ভরে নদীর জল চোখে মুখে দিতে থাকে
মেয়েটির বোবা দৃষ্টিতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে ।
'নিমেষে আমি নষ্ট হলাম বিষাক্ত কীট দংশনে
আমার স্থান আস্তাকুঁড়ে হবেনা ঠায় পূজার থালায় ।'


ছেলেটি এগিয়ে যায় সহানুভুতির কম্পমান হস্তখানি
'জানো এই মন এক মন্দির তুমি আগের মতই পবিত্র
আমি অসহায় অক্ষম অতিমানব হয়ে রক্ষাও করিনি ।
পশুরা তোমার শরীর ছুঁয়েছে মনতো ছুঁতে পারেনি ।