আজ কিছুতেই ঘুম আসছেনা
দুচোখের পাতা জোর করে বন্ধ করলেই
একটা মুখ ভেসে উঠছে
মুখটা শুরুতে পবিত্র সেটাই ধীরে ধীরে কুত্সিত
নাহ কিছুতেই ঘুম আসছেনা
জানলা দিয়ে চাঁদের আলো আমার সাদা বিছানায়
একটু আগে ঝড় বৃষ্টি হয়ে গেছে
বৃষ্টি ধোয়া কৃষ্ণচূড়া এখন জোত্স্না মাখছে
পাশের পাড়ায় জনৈকা'র বিয়ের সানাই বাজছে
খুব কাছে একটা ঝিঁঝিঁর কিন্কিন কান্না যেন সঙ্গত
এ যেন কার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে
জানি না কেন বুকের ভিতর তোলপাড়
আমার যে সব সব শেষ হয়ে যাচ্ছে ...


বিয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট ক্ষেতে রাস্তার কুকুরগুলো মত্ত
তবুও সানাইয়ের সুর সব ছাপিয়ে ভেসে আসছে
মনে হচ্ছে অপরেশন টেবিলে আধা অচেতন
স্কালপেল দিয়ে আমার হৃদয় টুকরো করে কাটছে
বিশেষ যন্ত্রনা কিন্তু চিত্কার কিছুতেই করতে পারছিনা
'ইচ্ছা করছে গলা ফাটিয়ে বলি আর না আর না
বড় কষ্ট হচ্ছে এভাবে নয় কন্ঠনালীতে বসিয়ে দিন'
কে যেন বলে উঠলো – এই নাও বিষপাত্র পান করো
নিমেষে জুড়াবে তোমার সকল ব্যথা যন্ত্রনা'।
অদ্ভুত ইচ্ছা হলো নিজেকে শেষ করার চরম সুযোগ
   একটা চুমুক দিয়ে দেবো?
ছটফট করতে থাকি বিছানায় কিসে যেন হাত পড়ল
মুঠোফোনে চেনা গলায় গল্প শুনি...
ভালবাসায় আঘাত পাওয়া আত্মহত্যা করা এক মেয়েকে
চুরি করতে আসা এক চোর প্রাণে বাঁচিয়ে ফেলে....
আমার ও চরম বাঁচার ইচ্ছা যেন ঘিরে ফেলল চারিধার
পাশের ঘরে মা আর দিদি গভীর ঘুমে
ছোটভাইটার পরীক্ষা ও বারান্দায় রাত জেগে পড়ছে
এদের ছেড়ে কোথায় যাব? কেন যাব ???
সানাই আর বাজছে না ভাই পড়ছে আমার ঘুম আসছে
লালচেলি পড়া লাল বেনারসীতে কে যেন পাশে
সে হেঁটে চলেছে আমি চিনতে পারছিনা
বিয়ের আসর থেকে উঠে আসা ছায়ামূর্তি বলে ওঠে
“আমি জোনাকি কথা দিয়েছিলাম ফিরে আসব
সব কিছু পিছনে ফেলে তোমার কাছে এসেছি...
হাতটা ধরো অমিত, রাস্তাটা বড় পিছল’’