জানিনা কবে থেকে প্রস্তুরিভুত
তোমার হাতের পরশে জেগে উঠব
একটু একটু করে সাজাবে এই শরীর
চম্পাকলি আঙ্গুলে হস্ত পদ্ম থাকবে
চরণ কমলে যত্নে নুপুর পরিয়ে দিও
গুরু নিতম্ব সাজিও কোমর বিছেতে
উন্মুক্ত বক্ষ ভরিয়ে দিও নানা কন্ঠহারে
কর্নে কুণ্ডল বাহুতে বাজু নাকে নথ
অনুপম ত্রিবেনী টিকলি দিও মস্তকে জুড়ে
খানিক কুঞ্চিত কেশ রাশি চোখের পরে।


     তখনো চোখ মেলেনি,ইচ্ছে করেই মেলিনি
এবার অঙ্গ জুড়ে মসলিনে যত্নে সাজাবে
মাদার ফুলের পাপড়িতে ঠোট রাঙাবে
হাতুড়ি আর ছেনিতে কি জাদু আছে ?


     এখন আমি হয়ে গেছি দিকবধুয়া
কিম্বা পত্রলেখা হয়তো বা চিত্রলেখা
অনন্ত সময় ধরে প্রেমিকের জন্যে অপেক্ষারতা
বাহুবন্ধন আলিঙ্গন কপোল চুমোয় আঁকবে
কি যেন আবেগে সারা শরীর কম্পমান
ক্রমশ যুগ যুগ শরমের বাঁধ ভেঙে যাবে
    চোখ মেলে দেখব আমার স্রষ্টাকে
আকাশ ভরা তারা জোনাকি রাত সাক্ষী
    সেই হবে আমার পরম প্রতিষ্ঠা
তারপর আমি হারিয়ে যাব কোথাও কোনখানে ...