দূর্গা আসে দূর্গা থাকে দূর্গা জলে ভাসান যায়,
আমার দূর্গা সেই যে গেল আরতো ফেরে নাই
শহর নগর গ্রাম জুড়ে আলোর মালায় উঠছে সেজে,
আমার ঘরে প্রদীপ শিখা কেন হটাত গেল বুঁজে
উপচে পরছে সবার মুখে দারুন মজার খুশির হাসি
আমার বুকে পাথর চাপা, দুলছে যেন দড়ির ফাঁসি,
দূর্গা ত্রাসে কাঁপছে অসুর, তা থই তা থই নাচন দেখে
আমার দূর্গা মান বাঁচাতে ককিয়ে ওঠে আর্তনাদে,
এসো দূর্গা বসো দূর্গা গান শুনে যাও আগমনীর,
আমার দূর্গা আঁকড়ে বসন চেষ্টা করে ঢাকতে শরীর ।
আল্পনা আঁকা চরন চিহ্ন, ছড়িয়ে পুজোর উঠোন জুড়ে,
আমার দূর্গা আপন রক্তে আল্পনা আঁকে মাটির পরে,
রূপং দেহি জয়ং দেহি য্সং দেহি হচ্ছে দূর্গা বরন,
তখন মেয়ের শরীর থেকে অসুর বসন করছে হরন ,
নাচো দূর্গা নাচো, নগ্ন হয়ে নাচো, জ্বালাও ত্রিনয়ন,
এবার অসুরগুলো ত্রিশুল দিয়ে মারো, তবেই তোমার বোধন ।
তবু, চতুর্দোলায় দুলে মেঘের ভেলায় ভেসে দূর্গা এল ঘরে,
শ্বেত বসনে মুড়ে মুকুটবিহীন হয়ে আমার দূর্গা ফিরলো ঘরে ।
এ কেমনতরো বোধন?