রাগের আমি রাগের তুমি রাগের দশকাহন
রাগের চক্ষু সিঁদুরে মেঘ,অনেকটা ঠিক যমের বাহন
রাগে নাকি অন্ধ হ্য়, রাগলে মানুষ চন্ডাল হ্য়
রাগ কমলে গলে জল, মাটির মানুষ তখন হ্য়  ।
বললে খোকা মাকে – আমি আজ রাগ করেছি ভীষন
মুচকি হেসে মা বলেন – বেশী করে ভাত খেও খোকন
রাগের তো নেই মাথা মুন্ডু, কেন যে হটাত রাগ হলে
যেতে গিয়ে কানপুরে নাগপুরেতে যায় সে চলে ।
রাগ দেখিয়ে ছোট্ট খুকি বলে অন্য দিকে চেয়ে
আদর করে ডেকে দেখো সবটুকু দুধ নেব খেয়ে
রাগের সময় বোন জামাই গিটকিরি গান গায়
এমন কথা আমরা সবাই জন্মেও শুনি নাই ।
সপাং সপাং বেল্টের বাড়ি বোন্ দেওরের পিঠে
জামাই বাবুর ভীষন রাগ অমনি গেল মিটে
নন্দা মাসি রাগ করেছে তাই বন্ধ দুদিন কথা
মনের ভাষা কেও বোঝেনা বুকে জমাট ব্যথা ।
মেসো আমার তাও জানেনা খেয়াল হলে বলে
শরীর বুঝি ভীষন খারাপ! তাই বন্ধ নাকি কথা ?
আমার সাধের মঞ্জু পিসী এমনিতে বেশ হাসি খুশী
চড়লে রাগ মাথায় আগুন,ভাঙ্গেন বাসন বকেন বেশি
বড্ড ভুলো ছন্দা কাকী রাগলে চায়ে চিনি নয় নুন
ছোটকা খেয়ে হা হা করে হেসে বলে- এটা ওনার গুন ।
রাগের বশে দাদু কোথায় হারিয়ে গেল পক্ষী ডাকা ভোরে
তিনমাস পড়ে পুরীধাম ঘুরে, হাসতে হাসতে ফেরেন ঘরে
রাগে অন্ধ কথা বন্ধ, রাগ কি অনুরাগ, মিথ্যে নাকি সত্যি
পুরুষের রাগ যদি লক্ষী, নারীর রাগ কি তবে অলক্ষী ?