কেউ কেউ চলে নিজের মতন,
আমি কিন্তু তাঁর কথাতেই চলি।
হাসতে বললে হাসি
কাঁদতে বললে কেঁদে ফেলি।
না জেনে না বুঝে, দিয়ে ফেলি হাততালি
সাতেও নেই পাঁচেও নেই। আমি কিন্তু দিব্যি আছি ।


হঠাৎ শুনি পাশের বাড়ির
যুবক ছেলেটার চাকরি গিয়েছে চুরি;
কান্না শুনে চমকে গিয়েছি
ছেলেটা নাকি দিয়েছে গলায় দড়ি।
আমি কিন্তু খোশমেজাজে নিথর ঘরে  
সেদিন ''পথের পাঁচালি'' দেখছিলাম।


ধর্নায় বসে রাস্তায় ওরা কারা!
সময়ের শুধু করছে অপচয়;
রোদ্দুরে পোড়ে বৃষ্টিতে ভেজে
তাপে উত্তাপের প্রতিবাদে শরীর করছে ক্ষয়।
আশা যাওয়ার পথে খুব নিরুত্তাপে দেখি
জানিই তো, আমার ঘরে ঠাণ্ডামেশিন আছে।


ফুটপাতে যারা বাস করে
ওদের মুখে সবসময় হাসিটুকু লেগে থাকে।
বৃষ্টিতে ওরা লাস্যময়ীর হাস্যমুখের
বিজ্ঞাপিত কাগজে'তে মুখ ঢাকে।
গ্রীষ্মে ওরা কম্বল পায় ডিমভাত পায় খিদেয়,
আমিও কিন্তু দিব্যি আছি ভিক্ষার ডালে চালে।


তর্ক বিতর্ক বেশ লাগে,
দেখি আনন্দের যুদ্ধ যুদ্ধ দরবার;
খাচ্ছি দাচ্ছি দিন ফুরাচ্ছি,
প্রতিবাদে আমার কি দরকার?
চুরি করছে করুক দেশ বিক্রি করছে করুক,
আমার তাতে কি!
মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিয়ে দিব্যি বেঁচে আছি।