আজ বালুরচরে জোত্স্না ঝরে
মন যে আমার কেমন করে !
তুমি কি এখনো আদিমতায়
লবন নদী শরীরের শ্রিধারায় ;
       ঘনকালো কেশদামে আলো ঝিকিমিকি    
       কতযুগের খসাতারায় জ্বলে ধিকিধিকি !
       রহস্যময়ী কুমারী রাত বালুর অভ্র মাখে
       রাত গভীরে ওরা পদচিন্হ এঁকে রাখে ;
আজ বেবাক উপোসী নাবিকেরা
যে যার মত ওষ্ঠ-সুধায় দিশাহারা !
কি কারনে মাস্তুলখানি ওঠেছে দুলে
গলার মুক্তমালা গিয়েছে নাকি খুলে ;
       অন্তসলিলা অনন্ত প্রেমকাব্য পাঠরতা
       ক্রমে চাঁদের ক্ষয় নামে নিথর নিরবতা !
       তুমি কি আবার সৃস্টিসুখে মেতে গর্ভবতী
       প্রসব করো নতুন সকাল ওগো অশ্রুমতি।