মাফ করবেন ধর্মাবতার !
বুঝতে পারিনি আমার ব্যক্তিগত কবিতার জন্য
আমার জেল হাজত বা ফাঁসি হতে যেতে পারে।
আইন যা চায় সেটাই হোক।
দেবী গান্ধারীর চোখে অস্ত্রোপচার খুব দরকার।


তবু ও আমার লেখনী থেমে যাবেনা
যা খুশি একটা বলে ফাঁসিয়ে দেওয়া যেতে পেরে
পুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হবে হয়তো কবিতার পাণ্ডুলিপি
কিন্ত পোড়া ছাই যেখানে যেখানে উড়ে পড়বে
সেখানেই আবার মাটি ফুঁড়ে
উঠে দাঁড়াবে বিপ্লব কেতনের মতন সবুজ কবিতা।


যখন ঝড় ওঠে ঈশান কোণে...
আকাশ যমদূতের মতন হয়ে পড়ে  
গর্জন করতে করতে এগিয়ে আসে হা হা রবে,
অবিশ্বাসী বাতাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসে
আমি নীরব দর্শকমাত্র হয়ে দেখতে পারিনা,
তখন হাতে পায়ে বুকে রক্ত উত্তাল,
লেখনীতে এক সমুদ্র সুনামি উদ্দামতা
সাক্ষাৎ কালাপাহাড়
রুখে দাঁড়াই সেই আস্ত ঝড়ের মুখে।


বসন্ত মাসে যখন কোকিল ডাকে
ফুলের বনে নানা রঙের আস্তরণ ,
এই মন তখন হয়ে পড়ে উদাস বাউল,
এই দুচোখ খুঁজে ফেরে উষ্ণতা,
হৃদয় কি তখন ব্যকারন মানে!
তাঁর হাত ধরে দ্রুত হারাই শাল পিয়ালের বনে।
শরীরে পিছলে পড়ে জোছনার আলো দেখি,
জোনাকির সিগন্যাল মাঝে মাঝে জাগিয়ে দেয়;
বলে ফুলের পরাগ মিলন উৎসবে যেতে হবে।
মহুয়ার মত্ত মাতাল ছন্দে ধামসা বাজে।
নদীর চরে আজ বসেছে সারারাতের মেলা।  


আমি তখন ব্যক্তিগত সীমানা পার করে ফেলেছি
এপারে ওপারে যত দ্বিধা দ্বন্দ কাটিয়ে উঠেছি।
ধীরে ধীরে কখন যেন আমি আমার কবিতা
কবিতার পাণ্ডুলিপি সবটা সর্বজনীন হয়ে গেছে।