ইচ্ছারা কিছুতেই বশ মানেনা
চকিতে প্রজাপতি ডানা মেলে উড়ে গেল;
কাঁটাতার পেড়িয়ে এক্কেবারে ওপারে
প্রায় মজানদী শেষে তামাকের সবুজ ক্ষেতে
একটু জিরিয়ে আবার  উড়ান দেয়
গর্ভবতী সারি সারি কলাগাছের খয়েরি মোচায়;
অতি সন্তর্পণে এগোয় চতুস্পদী পতঙ্গভুক
বুকে তখন ভর করে উদোম কালবৈশাখী ঝড়।
দে উড়ান দে উড়ান দে উড়ান দে উড়ান
বৈরাগী এক আপনমনে বাউল গানে
বসলো গিয়ে একতারাটির এক্কেবারে নাভীমূলে
ইচ্ছা বুঝি সুর শিখতে একান্ত বিবাগী
রাঙাপথের দেশে হলুদ রঙে বসন রাঙিয়ে নেয় ।
হেলেদুলে হাঁসের দল জলখেলাতে
ইচ্ছা এখন মুখ ডুবিয়ে চৈ চৈ চৈ জলকে চল ।
কেমন করে অজানা লাটাই দিন গুটিয়ে নেয়
সন্ধে ঘনিয়ে আসে পুকুরপারে বাঁশের বনে ।
ঐ তো শুনি আজান ধ্বনি এপারেতে শংখ বাজে;
ইচ্ছায় দেখি মায়ের মুখ 'বাছা এবার ঘরে আয়'।