পায়ে পায়ে অন্ধকার দিন থেকে আলোয় এসেছি ;
এত আলো থাকা সত্বেও দিকচক্রবাল অন্ধকার;
কে বা কারা নয় ? ওদের যথেষ্ট রকম চিনি জানি !
তবু তোমার আমার কারোর যেন কিচ্ছু করার নেই !
এত আলোর বাতিস্তম্ভ তবু বিচ্ছুরিত নিস্তব্ধ তিমির,
এত উত্সব তবু ঢাকের বোলে মন নিরন্ন উপবাস ।
এত হাসির ঝিলিকে পিরনহা মাছের দাঁতের সারি;
প্রতি মুহুর্তে ব্যবচ্ছেদ হয় মানদন্ডের সকল সম্মান।
বুকের পাঁজরে অনবরত হয় কুরুক্ষেত্রের রক্তক্ষরণ;
প্রতি সকালে ধুসরতার রেখা ক্রমশঃ দেখি নিম্নগামী,
বৈষম্যের বিষাদ জমছে পাহাড় প্রমান অন্তরজমিতে;
সারি সারি সাদা কাফনে ঢাকা লাশগুলো দন্ডায়মান !
একে একে বলে আমার অকাল-মৃত্যুতে ওরা দায়ী?
তর্জনী তুলে দেখায় নিশ্চিত মৃত্যূর ফাঁদ ঐ চক্রব্যূহ
ওরা চিনিয়ে দেয় চক্রব্যূহের রচনাকার কে বা কারা!
আমরা আমাদের মেরুদন্ডে লাগে অদ্ভুত বিদ্যুতপ্রভা ।


লাশেরা প্রাণ পেয়ে জীবন্ত,জলাভূমি থেকে উঠে আসে
এক থেকে একে ক্রমশঃ ঘিরতে থাকে মৃত্যূর চক্রব্যূহ !