তোমার রুদ্রমূর্তিকে মোকাবিলা করতে
ভূমি ফুঁড়ে উঠে পড়ছে কিশোরী ভুঁইফোঁড়।
মাথা তুলে এদিকে ওদিক চেয়ে থাকে বিস্ময়ে
মনে মনে বলে এ আমার মাতৃভূমি
তুমি কেন চোখ রাঙাও ওহে দিবাকর।
ঝলসে দিতেই পারো দাও এই প্রাণ নাও
তবু আমি তারই মন্ত্র বলে যাবো যার নাম বৃষ্টি
এ যে আমার মায়ের আদেশ।


যে পাখীটা খড়কুটো নিয়ে বাসা বাঁধছে
সেও জানে কিছুক্ষনেই যাবে পৃথিবী পরিক্রমায়।
প্রবল বিক্রমে সৃষ্টিকে দাবানলে পরিণত করতে;
তাই সে অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় কাজ শেষ করে
আগামী প্রজন্ম যে তার মুখ পানে চেয়ে আছে
সেও টুই টুই করে এক নাগাড়ে গাইছে বৃষ্টির মন্ত্র।


বাড়ির ছোট্ট মেয়েটাও
রঙপেন্সিলে বৃষ্টি মেয়ের ছবি আঁকছে ।
আদি শুনে শুনে গান গলায় তুলে নেয় ।
তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ও জানেনা
ওর গলার স্বরে মেঘ-মল্লার ঝংকৃত হয়।
যে শিশু সদ্য মল পায়ে টলমল হাঁটতে শিখেছে
তারই রিনিঝিনি নৃত্য ছন্দে যেন বৃষ্টির মেয়ের
তরলিত চন্দ্রিকার নিত্য চলে আরাধনা।


তুমি যে কেন এমন হে নটরাজ
ভয়ংকর প্রলয়ে মেতেছ বুঝিনা।
তুমি এসো । শামল সুন্দর হয়ে এসো।
তোমার এই সৃষ্টিকে আবার নিবিড় ভালোবাসো ।