শিশের গুলি কে ভয় পাইনা।
আমার দিকে বন্দুকের নল তুলে ধরেছ কেন?
আমি যে খুব নগন্য,
সাদা পাতায় আখর কাটি
কালো দাগের আঁকিবুকি।
শুধু মাত্র এই কারণে
তোমরা আমকে এতো ভয় পাও।


বন্ধুকের ছোড়া গুলিতে হয়তো মরে যাবো
কিছুটা রক্ত ছড়িয়ে যাবে গায়ে মাথায় মাটিতে
সেই রক্ত ঘামে ঘিলুতে যে ছবি চিত্রিত হবে
তাকেও তোমরা বন্ধুকের ডগায় মারতে পারবে!


সেই অব্যক্ত ছবি একে একে বলবে
মহাভারতের সঞ্জয়ের মতন
তোমাদের নষ্ট চন্দের যত আঁতুড়কথা।
তখুনি সেখান থেকে
অন্য আরও অনেকের জন্ম হবে।
ওরা দিক দিগন্তে ছড়িয়ে পড়বে,
ওদের সবার চোখের দিকে তাকাতে পারবে!


ওরা আমার ধারালো চিন্তনের অস্ত্র
ওরা দেখতে ভীষণ সাদামাটা ফসল।
তোমার ভিতরের শয়তানটাকে
দুমড়ে মুচড়ে কর্পূরের মতন ফুরিয়ে দেবে


তুমি তখন ভিতরে ভিতরে
নিজেকে নিজেই বৃশ্চিকের মতো শেষ করবে
এ আমার শেষ কথা মিলিয়ে নিও ঘাতক।