কতো রাতের হয়েছে অবসান
কতো দিন গেছে এমনি ফুরিয়ে
মানুষ প্রতিদিনি অঢেল কর্মশেষে
ঘুমিয়ে গেছে- পৃথিবীকে করে সুনসান!
আসলে মানুষের কাছে পৃথিবীর কী লেনদেন?
অসংখ্য মনীষির পদচিহ্ন ই আছে
তার উত্তরসূরির হৃদয়ে আঁকা।
প্রতিদিনই কর্ম শেষ হয় তার স্বাভাবিক নিয়মে
তবুও মনে হয় সব কর্ম পন্ড হয়েছে
সেই সব মনীষীদের অঘ্রানে-অন্মেষনে।
পৃথিবী চাতকের মতো পিপাসায়
বিকেলের আকাশে উড়ে
অসংখ্য মানুষের কৃতকর্মের নির্ণয়ের
এক ফোঁটা বৃষ্টি কনা উদগ্রীব কন্ঠে খোঁজে।
তৃষ্ণায় পৃথিবীর রনক্লান্ত চোখ
ফিরে যায় যেন জীবনের ব্যর্থতায়।


দিনের শেষে সমস্ত সারমেয়রা একই
হাইড্রেন্ট খুলে লেহনে পেয়েছে একই তৃপ্ততা।
ধোঁয়াশার মতো ভেসে আসে
প্রতিকার তছরুপ রূঢ় নিয়মের অসফলতা
হেমন্তের বন্দরে এসে পৌঁছেছে দেখি
বর্ষা ভর্তি জাহাজ সহসা-
বেরঙিন ধূষরতার ক্ষয়রোগে
কখন যেন গ্রাস করে গেছে
মানবতার হৃদয়ের পাঁজরে পাঁজরে
মধ্যযুগের রীতি নীতি লীন করে দিয়ে।
শত শত নবজাতক এ যুগের ঘ্রানে
                     প্রতিদিন হয় আসক্ত-
পৃথিবী কি আরো কোনো পৃথিবীর
জন্ম দিয়ে হবে কোনো দিন শান্ত?